কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ১১:৪০ পিএম
আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, ১১:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়নি, মার্কিন স্বীকারোক্তি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর শনিবার (২১ জুন) মধ্যরাতে চালানো মার্কিন সামরিক হামলা ‘গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি’ হলেও তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে স্বীকার করেছে পেন্টাগন। খবর মেহের নিউজের

রোববার (২২ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে বড় ধাক্কা দেওয়া, কিন্তু তা গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

শনিবার মধ্যরাতে চালানো ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে হেগসেথ জানান, ইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনাটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তবে এটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। তিনি বলেন, আমরা ইরানের পরমাণু কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটিয়েছি, তবে তা নির্মূল করতে পারিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানান, এই অভিযান ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য ইরানে সরকার পরিবর্তন নয়। বরং, এ হামলা ছিল ইসরায়েলকে ঘিরে উত্তেজনা ও ইরানের আগ্রাসনের জবাব হিসেবে ‘সুনির্দিষ্ট ও সীমিত প্রতিক্রিয়া’।

হেগসেথ দাবি করেন, অভিযানের প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গেছে ‘প্রত্যাশিত প্রভাব’ অর্জিত হয়েছে। তার ভাষায়, এটি ছিল অবিশ্বাস্য এক হামলা। আমরা যেটুকু করেছি, সেটাই ছিল সব। তেহরান যদি প্রতিশোধ নেয়, তাহলে সেটি হবে একটি গুরুতর ভুল।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালায় এমন এক সময়ে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টা হামলার পর ধারণা করা হচ্ছিল, বড় ধরনের যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠছে। মার্কিন প্রশাসন বহুদিন ধরেই আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল যে, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে অস্ত্রায়নে ব্যবহার করতে পারে।

তবে এবারের হামলার পর পেন্টাগনের সরল স্বীকারোক্তি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একদিকে ইরান দাবি করছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে আঘাত তেমন কিছুই হয়নি, অন্যদিকে পেন্টাগনের বক্তব্যও বুঝিয়ে দিয়েছে- এই হামলার সামরিক ও কূটনৈতিক ফলাফল এখনো অনিশ্চিত।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হেগসেথের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যুক্তরাষ্ট্র একবারে খোলামেলা যুদ্ধ নয়, বরং নিয়ন্ত্রিত শক্তি প্রদর্শনের পথ বেছে নিয়েছে। আর এটাই হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা- যুদ্ধ নয়, কিন্তু সুনির্দিষ্ট সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

তবে তেহরান কীভাবে এর জবাব দেবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। আর সেই উত্তরের উপরই নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনার পরবর্তী রূপ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

জুলাইয়ের গাদ্দারদের সব রেকর্ড প্রকাশ করা হবে : মুনতাসির

যে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়তে রাজি নয় ইসরায়েল

ময়মনসিংহে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

ধানের শীষের বিজয় মানেই জনগণের মুক্তি : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

বাবর আজমকে নিয়ে ধারাভাষ্যে রমিজ রাজার তির্যক মন্তব্য

১১

‘সঠিক ও মানসম্পন্ন সংবাদ উপস্থাপনে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে’

১২

আন্দরকিল্লা মসজিদ আইকনিক করতে ব্যয় ৩০০ কোটি

১৩

মেসির চেয়েও ধনী শুধু দুইজন ক্রীড়াবিদ!

১৪

প্রবাসীর ছেলেকে দাদা-দাদির কবরের পাশে ঠাঁই দিল না চাচারা

১৫

শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১৬

বিপিএলের জন্য নতুন রূপে প্রস্তুত হচ্ছে রাজশাহী স্টেডিয়াম

১৭

সাংবাদিককে আটক করে পুলিশের মারধর, গায়েব করার হুমকি

১৮

রেড ক্রিসেন্ট থেকে এনসিপি নেতাকে অব্যাহতি

১৯

নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আবারও এনসিএল শিরোপা রংপুরের ঘরে

২০
X