ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করতে পারে। এ ছাড়া ইরান তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম আরও বাড়াতে আগ্রহীও হতে পারে। আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই আশঙ্কা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নিকোলাস মিলার।
এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গণমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে, হামলার ফলে ইরানের অস্ত্র তৈরির উপযোগী ইউরেনিয়াম উৎপাদনের সময় কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি কথা যা ট্রাম্প বাতিল করেছিলেন। সেই চুক্তি হলে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম অন্তত ১৫ বছর পিছিয়ে যেত।
মিলার লিখেন, ‘যারা আগে ওই চুক্তির সমালোচনা করেছিল, এখন তারাই এই বিমান হামলাকে সমর্থন করছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এ বিতর্ক বাদ দিলেও চুক্তি বেশি কার্যকর নাকি হামলা, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তথ্য বলছে, হামলা ইরানের জন্য একটি রাজনৈতিক সুযোগ তৈরি করেছে। এর ফলে ইরান এনপিটি থেকে বের হয়ে গোপনে পারমাণবিক কার্যক্রম চালাতে পারবে। এ ক্ষেত্রে আর আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের বাধা থাকবে না তাদের ওপর।’
ইরান এনপিটির সদস্য এবং দেশটি দাবি করে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ এবং তারা কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না। অন্যদিকে, ইসরায়েল হলো মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ যাদের পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে বিশ্বাস করা হয়, যদিও তারা কখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি বা এনপিটিতে সই করেনি।
মন্তব্য করুন