মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা করার পর রিপাবলিকান দলে বিভক্তি দেখা গেছে। সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা উপসচিব ল্যারি কর্ব বলেন, ট্রাম্প ইরানকে উসকে দিয়েছে। এখন ইরান হয়তো অঞ্চলের মার্কিন সেনাদের ওপর আক্রমণ করতে পারে।
আলজাজিরাকে তিনি বলেন, ‘মানুষ ট্রাম্পের ওপর বিরক্ত, কারণ তিনি যা বলেন তা করেন না। তিনি বলেছিলেন, তিনি দুই সপ্তাহ সময় দিতে চান যাতে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার সুযোগ থাকে; কিন্তু মাত্র দুই দিন পরই তিনি হামলা চালান।’
তবুও, বেশিরভাগ রিপাবলিকান নেতারা ট্রাম্পকে সমর্থন করে যাচ্ছেন। ল্যারি কর্ব বলেন, ‘অনেকে তার সঙ্গে একমত না হলেও সমর্থন করছেন, কারণ তিনি তাদের প্রেসিডেন্ট এবং তারা পরবর্তী নির্বাচনের চিন্তায় আছেন।’
কর্ব আরও বলেন, ট্রাম্প ইরানের সরকার ফেলার ব্যাপারে দ্বিধায় আছেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি দুই দিকেই যেতে চান। তিনি ইরানে হামলা করেছেন, এখন সেই হামলা কতটা সফল হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করছেন। আবার বলছেন, ইরানের বিরুদ্ধে আরও কিছু করবেন, কিন্তু কী করবেন তা স্পষ্ট করছেন না। তার উপদেষ্টারা বলছেন, তারা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ধ্বংস করে সফল হয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প থামতে চান না, কারণ এখন তিনি এগিয়ে আছেন। তিনি আরও এগোতে চান।’
এদিকে ইরানে মার্কিন বিমান হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম দ্রুত বেড়েছে। বাজার খোলার পরপরই ব্রেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তেল চুক্তি ডব্লিউটিআই—উভয়ের দাম বেড়েছে। ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইর দাম ৪ শতাংশের বেশি বেড়ে জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে যায়।
এএফপির খবরে বলা হয়, পরে কিছুটা কমলেও সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭৯ দশমিক ২০ ডলার, যা ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। আর ডব্লিউটিআই ছিল ৭৫ দশমিক ৯৮ ডলার, যা ২ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
জাপানের এমইউএফজি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, এ যুদ্ধ কতদিন চলবে বা কী পরিণতি হবে—সে অনিশ্চয়তা থেকেই তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আরও ১০ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন