ইরানের সঙ্গে ১২ দিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও শুরু হয়েছে বিজয়ের দাবি-পাল্টা দাবি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছি। এই বিজয় প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সিংহের মতো জেগে উঠেছিলাম, এবং আমাদের গর্জনে তেহরান কেঁপে উঠেছে। এই যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে সামরিক একাডেমিগুলোতে পড়ানো হবে। আমরা ইরানের আরাক, নাতানজ ও ইসফাহান অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছি।’
নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছেন, সংঘাত আপাতত থামলেও ইসরায়েল প্রস্তুত আছে। তার হুঁশিয়ারি, ‘ইরান যদি তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আবার শুরু করে, তাহলে আমরা আবারও তা ধ্বংস করে দেব। আমাদের এই মিশন তখনই শেষ হবে, যখন অপহৃত ইসরায়েলি সেনাদের ফিরিয়ে আনা হবে এবং হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হবে।’
পাল্টা দাবি তেহরানের
অন্যদিকে, ইরানও যুদ্ধের পর নিজেদের বিজয় দাবি করেছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি বলেই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
তেহরানের ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে; কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। বরং ইরান শেষ পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রতিরোধের মুখে ইসরায়েল ও তাদের মিত্ররা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। রাজনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে এটাই আমাদের বিজয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইরান ও ইসরায়েল একটি পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, প্রথমে ইরান সামরিক অভিযান বন্ধ করে, এরপর ইসরায়েল। তবে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের বিরশেবা শহরে চারজন নিহত হন। ফলে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।
মন্তব্য করুন