সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশটির সেনাবাহিনীতে থাকা হাজার হাজার বিদেশি যোদ্ধাকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে। বুধবার সিরিয়ান সামরিক নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
‘অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষের ওপর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপ কমাতেই’ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরেম নিউজ। সূত্রের দাবি, সিরিয়ায় বর্তমানে ১০ থেকে ১২ হাজার বিদেশি যোদ্ধা রয়েছে, যা আল-আসাদ সরকারের পতনে সহায়তাকারী মোট বাহিনীর ১০ থেকে ২০ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার রাজনৈতিক পুনর্গঠন, কূটনৈতিক স্বীকৃতি এবং পুনর্গঠন সহায়তার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা অনেকটাই নির্ভর করছে এই বিদেশি যোদ্ধাদের ভাগ্য কী হবে তার ওপর।
এর আগে সিরিয়ার নতুন প্রশাসন কিছু বিদেশি যোদ্ধার সেনাবাহিনীতে ভূমিকা বৈধ করার চেষ্টা করলেও, তাদের উপস্থিতি এখনো সিরিয়ার বৈশ্বিক স্বীকৃতি লাভের পথে বড় বাধা হয়ে আছে। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টাতেও এই ইস্যু বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
দেশের অভ্যন্তরেও বিদেশি যোদ্ধা ইস্যু ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা কিছু যোদ্ধা দামেস্ক ও উপকূলীয় শহরগুলোতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। আফ্রিকায় স্থানান্তরের এ পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, কিংবা সংশ্লিষ্ট দেশগুলো এতে রাজি হয়েছে কি না; তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মন্তব্য করুন