মিশরে গত এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত আট টিকটক কনটেন্ট নির্মাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘অশালীনতা’ ও ‘সামাজিক মূল্যবোধ লঙ্ঘনের’ অভিযোগ এনেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এই অভিযানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তীব্র সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
সংগঠনগুলো বলছে, এই অভিযান আসলে অনলাইনে নারী নির্মাতাদের লক্ষ্য করে পরিচালিত একটি পরিকল্পিত দমননীতি। তাদের অভিযোগ, সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষের বক্তব্য ও অভিব্যক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চাইছে।
মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া নির্মাতাদের ভিডিওতে অশালীন ভাষা ব্যবহার, সামাজিক শালীনতা ভঙ্গ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারসহ নানা বিষয় পাওয়া গেছে।
এই গ্রেপ্তারের ঢেউ শুরু হয় একটি অনলাইন ক্যাম্পেইন এবং ৩২ জন আইনজীবীর যৌথ অভিযোগ দায়েরের পর। ওই অভিযোগে বলা হয়, টিকটকের এসব ভিডিও তরুণ প্রজন্মের জন্য হুমকিস্বরূপ।
মিশরের অন্যতম মানবাধিকার সংগঠন ইজিপশিয়ান ইনিশিয়েটিভ ফর পার্সোনাল রাইটস (ইআইপিআর)-এর লুবনা দরবিশ জানান, এটি ২০২০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধরনের দমন অভিযান। আগের মতো এবারও মূলত নিম্ন-মধ্যবিত্ত পটভূমি থেকে উঠে আসা সেই নারী নির্মাতারাই লক্ষ্যবস্তু, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে আয়-সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া দুই নির্মাতা স্বীকার করেছেন যে, তারা বেশি ভিউ পেতে এবং সেখান থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য এসব ভিডিও পোস্ট করতেন। এ ছাড়া তাদের আয়ের উৎস নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন