সিরিয়ায় একটি মিলিটারি একাডেমিতে ড্রোন হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে শতাধিকে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি।
ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১২ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ জন বেসামরিক লোক ও ১১ জন নারী রয়েছেন।
এর আগে সিরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-গাবাশ বলেন, নিহতদের মধ্যে ছয় শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক কর্মী রয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সংগঠন দায় স্বীকার করেনি। তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ হামলার জন্য ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’কে দায়ী করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ক্যাডেটদের পরিবারের অংশগ্রহণে একটি স্নাতক অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী ড্রোন দিয়ে হামলাটি চালানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হোমসের উত্তর-পশ্চিমে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা থেকে এ ড্রোন হামলা করা হয়েছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা সেনাবাহিনীর এক বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলেছে, বিস্ফোরকবোঝাই একাধিক ড্রোন দিয়ে হোমস মিলিটারি একাডেমিতে হামলা চালানো হয়েছে। দুপুরে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরপর এই হামলা হয়।
সিরিয়ার একটি নিরাপত্তা সূত্র এবং বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে দামেস্ক সরকারকে সমর্থনকারী আঞ্চলিক জোটের একটি বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু হামলার কয়েক মিনিট আগে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ড্রোন হামলার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
মন্তব্য করুন