গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০০০-তে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের ভেতর ৩০০০ শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে যে তারা ট্যাংক ব্যবহার করে হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে গাজার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান চালিয়েছে।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের জরুরি বিভাগ প্রধান জানান, লাশে ভরে গেছে মর্গ। ভবনের ভিতরে স্তূপ করা মৃতদেহগুলোর থাকার জন্য এবং দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের শনাক্ত করার জন্য একটি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।
হামাসের হামলা জবাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালাতে কয়েক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে গাজা সীমান্তে হাজার হাজার সেনা জড়ো করেছে দেশটি। তবে এখনই সেখানে ইসরায়েলের স্থল অভিযান চালানোর বিপক্ষে তেল আবিবের অন্যতম প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলমান সংঘাত নিয়ে বলেন, রক্তপাত ও সহিংসতা বন্ধ করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এটা না হলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ। অন্যের অপরাধের জন্য এ যুদ্ধে গাজার নিরপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা শাস্তি পাচ্ছে। এই অঞ্চলে রক্তপাত বন্ধ করতে হবে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, আজকে আমাদের কাজ এবং আমাদের প্রধান কাজ হলো এ রক্তপাত এবং সহিংসতা থামানো। অন্যথায় সংকট আরও বেড়ে গেলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক এবং পরিণতি ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এটি কেবল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা পেরিয়ে এর বাইরে এ পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়বে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে গাজায় টানা বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত বোমাবর্ষণে সেখানে ৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এরই মধ্যে এবার সেখানে বড় ধরনের স্থল অভিযান চালাতে গাজা সীমান্তে বহু সেনা ও সমরাস্ত্র জড়ো করেছে ইসরায়েল। তবে এখনই অভিযান চালালে হামাসের হাতে জিম্মি বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিতে পারে।
মন্তব্য করুন