দেড়শোরও বেশি দেশ থেকে আগত ২০ লাখ মুসল্লির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান। পবিত্র হজের খুতবায় সামাজিক ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আরাফাতের ময়দানের খতিব। এসময় তিনি মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের আহ্বান জানান।
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা ছিল মঙ্গলবার। ইহরাম বাঁধা অবস্থায় হজ পালন করতে আসা মুসল্লিরা সেখানে খুতবা শোনেন এবং জুমা ও আসরের নামাজ আদায় করেন।
এবার হজে খুতবা পড়েছেন সৌদি আরবের বিশিষ্ট আলেম শেখ ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদ। সৌদি গ্যাজেট জানায়, তিনি খুতবায় বিশ্বের মুসলমানদের একত্রিত থাকার আহ্বান জানান।
নামিরা মসজিদ থেকে দেওয়া খুতবায় তিনি বিশ্বের মুসলমানদের সংঘাত এড়িয়ে অপপ্রচার ও গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।
২০টির বেশি ভাষায় রেডিও ও টেলিভিশনে এই খুতবা সম্প্রচার করা হয়। উল্লেখ্য এই ২০ ভাষার মধ্যে বাংলাও রয়েছে।
এর আগে রোববার হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পবিত্র মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করে রাতে এশার নামাজের পর সবাই জড়ো হতে শুরু করেন ১০ কিলোমিটার দূরে তাঁবুনগরী মিনায়।
সোমবার মিনায় মুসল্লিরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় জিকির করেন, জামাতে নামাজ পড়েন। এর পরের দিনটি আরফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার দিন। ইসলামের রীতি অনুযায়ী জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফাতের ময়দানে অবস্থানপূর্বক ইবাদত করে ও আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করার প্রক্রিয়াটিকে হজ বলা হয়।
বুধবার সকালে মিনায় ফিরে মুসল্লিরা প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়বেন। এরপর কোরবানি দিয়ে ইহরাম ত্যাগ করবেন এবং সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, করোনার পর এবারই প্রথম বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশ থেকে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৮ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছান। আর সৌদি আরবের ভেতর থেকেও বিপুলসংখ্যক লোক হজ করছেন।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করতে এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন সৌদি আরব গেছেন। গত ২১ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ৩২৫টি ফ্লাইটে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৬ হজযাত্রী মক্কা ও মদিনায় মারা গেছেন। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
মন্তব্য করুন