ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজা সিটিতে অন্তত ১৯ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিককে তড়িঘড়ি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অভিযোগ উঠেছে। গত ডিসেম্বরে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। শনিবার (২০ জানুয়ারি) এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আলজাজিরা।
ইসরায়েলি বাহিনীর তড়িঘড়ি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা শুরু করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। গত ১৯ ডিসেম্বর সংগঠিত এই ধরনের একটি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আলজাজিরার হাতে এসেছে। এ ছাড়া সংবাদমাধ্যমটি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর তড়িঘড়ি মৃত্যুদণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন উম্মে ওদাই সালেমের স্বামী। তিনি বলেন, দিনের পর দিন ইসরায়েলি ট্যাংক ও বুলডোজার আমাদের ভবন ঘিরে রাখে। বেশ কয়েকদিন ভবন নিশানা করে গুলি ছুড়তে থাকে। দিন দিন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে।
ফিলিস্তিনি এই নারী বলেন, ইসরায়েলি সেনারা ভবনটিতে হামলা চালায়। তারা আমাদের দরজায় আঘাত করে। আমার স্বামী তাদের বলেছেন যে আমরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। এরপর তারা তাকে অন্য অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যায়। আমি তাদের পেছন পেছন যায়। তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যে তাকে ছেড়ে দিতে। কারণ আমরা সবাই বেসামরিক নাগরিক।
তিনি বলেন, তারা আমাকে ও আমার মেয়েদের মারধর করেছে। তারা আমাদের সব নারীকে এক জায়গায় করে বন্দুক ও ছুরি দেখিয়ে হুমকি দিয়েছে। তারা আমাদের কাপড়-চোপড় খুলে ফেলতে বাধ্য করে। এরপর আমাদের তল্লাশি করে এবং ভয়ংকর সব শব্দ ব্যবহার করে আমাদের অপমান করেছে।
ইসরায়েলি সেনারা তাদের সবার আবেদন-নিবেদন উপেক্ষা করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সব ফিলিস্তিনি পুরুষকে বাইরে জড়ো করেন। উম্মে ওদাই সালেম বলেন, ওই ভবনে নিহত ১৯ জনের একজন আমার স্বামী। তারা তাদের নিচু করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়। ওরা সবাইকে হত্যা করেছে।
মন্তব্য করুন