কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খেজুর ভেজানো পানি খেয়ে বেঁচে আছে গাজার শিশুরা

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার একটি অস্থায়ী শরণার্থী শিবির। ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার একটি অস্থায়ী শরণার্থী শিবির। ছবি: সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধের মধ্যেই সম্প্রতি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওয়ারদাহ আহমেদ মাতার নামে ফিলিস্তিনের এক নারী। বর্তমানে তার মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে। খাবারের তীব্র সংকটে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারছেন না এই মা। অন্য কোনো শিশুখাদ্য দিয়ে সন্তানের ক্ষুধা মেটানোরও কোনো সুযোগ নেই। বাধ্য হয়ে খেজুর ভিজিয়ে সেই পানি খাওয়াচ্ছেন নবজাতককে।

ওয়ারদাহ আহমেদ মাতার বলেন, খাওয়ার জন্য আমি শুধু ভাত আর ডাল পাচ্ছি। ফলে, বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে না। ওকে কিছু কিনে খাওয়াব সেই সামর্থ্যও নেই। তাই বাধ্য হয়ে খেজুর ভেজানো পানি খাওয়াচ্ছি। অথচ প্রথম সন্তান হওয়ার আগে একদিন হাসপাতালে বিশ্রামে ছিলাম। কিন্তু এবার বাচ্চা হওয়ার মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে আমাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ, গোটা গাজায় মাত্র দুই-একটি হাসপাতাল খোলা ছিল। ডেলিভারি রোগীর ভিড় ছিল অনেক বেশি।

অ্যাকশন এইড প্যালেস্টাইন এবং ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর বলছে, গাজায় ১০ হাজার সন্তানসম্ভাবা নারী রয়েছেন। যারা তীব্র ক্ষুধায় ভুগছেন। এর জেরে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেও বুকের দুধ খাওয়াতে পারছেন না এসব মায়েরা।

উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে- যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় প্রায় ২০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। হাসপাতালগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ শিশুর জন্ম হয়েছে শরণার্থী শিবিরের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে। যাদের সিংহভাগই ভুগছে পুষ্টিহীনতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায়। কিন্তু এর থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছেন ওয়ারদার মতো ভুক্তভোগী ফিলিস্তিনিরা।

আহমেদ মাতার আরও বলেন, আমরা চাই যুদ্ধ বন্ধ হোক। আরব নেতাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই—আমাদের সন্তানরা শেষ হয়ে যাচ্ছে, বিপদের এই দিনে দয়া করে আমাদের পাশে দাঁড়ান। আশা করছি—শিগগিরই এই যুদ্ধ শেষ হোক। আমরা ফিরে যাই আমাদের স্বাভাবিক জীবনে।

জাতিসংঘের হিসেবে গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ সম্ভাব্য এক দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ হতাশার বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি।

যুদ্ধ শুরুর পর চারদিক থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। বন্ধ করে দেয় ত্রাণ প্রবেশও। এতে ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে উপত্যকার বাসিন্দারা। গেল রোববার উত্তর গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় মৃত্যু হয় দুই মাস বয়সী এক শিশুর। এমন পরিস্থিতিতেও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শীতের সঙ্গে ভিড় বাড়ছে লেপ-তোশকের দোকানে

যুবকের পচাগলা লাশ উদ্ধার

সুখবর পেলেন যুবদল নেতা

পটকা ফুটানো নিয়ে রাতে সংঘর্ষে জড়াল দুই মহল্লার বাসিন্দারা

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ যা জানা গেল

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল-আমিনের সর্বশেষ অবস্থা

বিজয়ের মাস উদযাপনে ঢাবি প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ জাতীয় ছাত্রশক্তির

গুজবে কান না দিয়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া করুন : ইশরাক

শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মনি গ্রেপ্তার

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফরিদপুরে কর্মসূচি

১০

এখনো ‘ট্রাভেল পাস’ চাননি তারেক রহমান : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত, ছাত্রত্ব বাতিল দুই শিক্ষার্থীর

১২

‘চশমা’ প্রতীকে নির্বাচন করবে আট দলের শরিক জাগপা

১৩

মানুষের অধিকারের প্রশ্নে খালেদা জিয়া সব সময় আপসহীন : মাসুদুজ্জামান

১৪

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির ওমরাহ পালন

১৫

সেঞ্চুরিও বাঁচাতে পারল না ভারতকে, সমতায় সিরিজ

১৬

মাদকাসক্ত ছেলের আগুনে পুড়ল বসতঘর

১৭

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় হাসপাতালে চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

১৮

মাদ্রাসাছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

১৯

শরীয়তপুরে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় মিলাদ ও দোয়া

২০
X