কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
আপডেট : ২০ মে ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) এ আবেদন করা হয়।

আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান এ আবেদন করেন। সোমবার (২০ মে) তিনি নিজেই তথ্যটি জানান। এ ছাড়া আদালতের ওয়েবসাইটে আবেদনের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

তাতে দেখা যায়, নেতানিয়াহু ছাড়াও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের দল হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

এ তালিকায় রয়েছেন- ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, গাজা উপত্যকার ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার, সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডের কমান্ডার-ইন-চিফ মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল মাসরি ও হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ।

আবেদনে করিম খান বলেন, উভয়পক্ষের এ ব্যক্তিরা গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ভার বহন করেছেন। এটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ তার কাছে আছে।

হামাস যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রবেশ করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা করে। তারা শত শত ইসরায়েলিকে হত্যা, লুটপাট, বেসামরিকদের সম্পদ ধ্বংসের পর ২৪৫ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে।

এসব অপরাধ প্রমাণে সিসিটিভি ফুটেজ, বিশ্বাসযোগ্য অডিও, ভিডিও, ছবি, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা, বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে।

অপরদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধপরাধে দায়ী নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট। তারা নির্বিচারে হামলা করে মানুষ মারছে। গাজায় এমনভাবে বোমা ফেলা হচ্ছে যেন সেখানে কোনো মানুষই নেই। এ ছাড়া সেখানে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল; যা যুদ্ধপরাধ।

চলমান গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজার ৭০ শতাংশ বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে নেতানিয়াহুর বাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এসব নিহতদের অস্ত্রধারী হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

নিয়ম অনুযায়ী আইসিসির বিচারকরা আবেদনটি পর্যালোচনা করবেন। এতে তাদের কাছে প্রমাণগুলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্য যথেষ্ট মনে হলে রায় আসবে। অন্যথায় আবেদনটি খারিজ হয়ে যাবে।

বিবিসি বলছে, আইসিসির প্রসিকিউটর গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধ করা এবং বিচারকরা এটির ওপর রায় দেওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধানের বাধ্যবাধকতা নেই। মাঝে মধ্যে কয়েক সপ্তাহ এবং এমনকি কয়েক মাস কেটে যেতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৩ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ দুর্গাপূজা উদযাপন

কারখানায় কাজ বন্ধ, মহাসড়কে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিক্ষোভ

বিশ্বকাপের ম্যাচেও হাত মেলাননি ভারত ও পাকিস্তান অধিনায়ক

আ.লীগের সাবেক এমপি মোজাম্মেল হক গ্রেপ্তার

স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

‘ধর্ম অবমাননা’ : সেই অপূর্ব পালকে নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ

বিসিবি নির্বাচন পেছানোসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি

১০

রাতে খাওয়া বন্ধ করলে কি ওজন কমে? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

১১

ইন্টার ইউনিভার্সিটি বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

১২

আশিয়ান সিটিতে ৬ দিনব্যাপী ‘শরৎ উৎসব’

১৩

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়

১৪

১৩ সেকেন্ডেই লন্ডভন্ড পাঁচ গ্রাম

১৫

বিজয়ের কারণেই কি ভেঙেছিল রাশমিকা-রক্ষিতের বিয়ে?

১৬

শেষ টি-টোয়েন্টিতে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ

১৭

নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র হামদুল্লাহ রাইয়ানের সন্ধান চায় পরিবার

১৮

বিস্ফোরক আইনের মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ২২ জনকে অব্যাহতি

১৯

প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বিএনপি কর্মীর পাশে পারভেজ মল্লিক

২০
X