কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দুই নভোচারীর সামনে ঘনিয়ে আসছে যে বিপদ

মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ছবি : সংগৃহীত
মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ছবি : সংগৃহীত

মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি জমিয়েছিলেন নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। কিন্তু গেল ৫ জুন মহাকাশে পাড়ি জমানো এই দুই নভোচারী এখনও জানেন না তারা কবে পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করবে।

প্রথমবারের মতো বোয়িংয়ের নতুন স্টারলাইন ক্যাপসুলে করে মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। কিন্তু নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এখন মহাকাশেই আটকা পড়েছেন তারা।

অনাকাঙ্ক্ষিত এমন ঘটনা ওই দুই নভোচারীর জন্য প্রাণঘাতী নয়। তবে মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকার কারণে তাদের শরীরের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। এর আগেও নভোচারীর মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকার নজির রয়েছে। নাসার নভোচারী ফ্রাঙ্ক রুবিও একটানা ৩৭১ দিন মহাকাশে অবস্থান করেছেন। এতে শরীরের ওপর কী প্রভাব পড়েছে, তা গবেষকদের বোঝার জন্য কাজে লাগতে পারে।

তবে দীর্ঘ সময় মহাকাশে কাটানোর কারণে ক্যানসার, হার্টের রোগসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটা বলছে খোদ নাসা। মহাকাশে থাকা বিকিরণের প্রভাবেই এমনটা ঘটতে পারে। পৃথিবীতে থাকা চুম্বকীয় ক্ষেত্র আমাদের সূর্যের বিকিরণ থেকে রক্ষা করে। কিন্তু মহাকাশযান পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের মতো সুরক্ষা দেয় না। নাসা বলছে, দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়।

মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই, তাই সহজেই ভেসে থাকা যায়। এমন দারুণ জিনিসের নেতিবাচক দিকও আছে। কেননা এর প্রভাবে নভোচারীদের হাড় ও মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। মাধ্যাকর্ষণ না থাকলে হাড় ঘনত্ব হারায়। এতে হাড়ে থাকা মিনারেল শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে নভোচারীর প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম বেড়ে যায় এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। আর মাংসপেশিও দুর্বল হয়ে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ না থাকার কারণে।

মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় চোখ বড় হয়ে যায় এবং দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন আসে। মহাকাশে গেলে অন্যান্য মাংসপেশির মতো হৃদপিণ্ডও ছোট হয়ে আসে। তবে হৃদপিণ্ড ছোট হয়ে আসার কারণে যে পরিবর্তনগুলো ঘটে, তা পৃথিবীতে ফেরত আসার পর ভালোভাবে অনুভব করেন নভোচারীরা। এ ছাড়া মহাকাশে থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দেখা দেয়।

তবে সুখবর হচ্ছে, দুই নভোচারীর পৃথিবীতে ফিরে আসার সম্ভাব্য একটি সময় জানা গেছে। এজন্য অবশ্য তাদের আরও কয়েক মাস মহাকাশেই থাকতে হতে পারে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে। যদিও এর আগেও নিয়ে আসা হতে পারে তাদের। সেপ্টেম্বরে স্পেসএক্স মিশন পাঠাবে। ওই মিশনে করে সুনিতা ও বুচকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কোরআন অবমাননার মামলায় অপূর্ব পাল ৫ দিনের রিমান্ডে 

নানা বিতর্কের কেন্দ্রে চাকসু শিবিরের ভিপি প্রার্থী

গ্লোবাল ইকোনমিক অ্যাওয়ার্ড পেল অরেঞ্জ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড

জামালপুরে যুবদলের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

শাপলা প্রতীক না পেলে নিবন্ধন নেবে না এনসিপি : সারোয়ার তুষার

আগের সংসার নিয়ে মুখ খুললেন তনির স্বামী

৪ ঘণ্টায়ও নেভানো যায়নি মিরপুরের গোডাউনের আগুন

পুকুরে গোসলে করতে নেমে একই পরিবারের ৩ শিশুর মৃত্যু

১৩ খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগে সুখবর দিল মালয়েশিয়া

ইউআইইউ এবং পিএনজেড ইনোভেশনের মধ্যে গবেষণা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

১০

৪৮ কেজি হরিণের মাংসসহ ১ শিকারি গ্রেপ্তার

১১

অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে : রাশেদ প্রধান 

১২

চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধীর দুই নেতা আটক

১৩

হংকং চায়নার বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুর একাদশে যারা আছেন

১৪

‘আগামী নির্বাচনের ওপর দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে’

১৫

মিরপুরে গার্মেন্টস-কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনের ঘটনায় নিহত ৯

১৬

বাংলাদেশে ব্লক হতে পারে ক্রিকইনফো!

১৭

জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে হেলাফেলা করা যাবে না : রাশেদ প্রধান

১৮

পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ছাত্রদলের ২ নেতা নিহত 

১৯

ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উপদেষ্টাদের নাম ও কল রেকর্ড আছে : ডা. তাহের 

২০
X