

বিশ্ববাজারে বুধবার স্বর্ণের দাম ১% এরও বেশি বেড়েছে। মার্কিন ডলারের সামান্য পতন এবং বাণিজ্য ঝুঁকি-অফ সেন্টিমেন্ট চাহিদাকে প্রভাবিত করেছে। এর আগে মঙ্গলবার লেনদেনের শেষে স্বর্ণের দামে পতন ছিল লক্ষ্যণীয়।
বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পট গোল্ড ১.৩% বেড়ে প্রতি আউন্স ৩,৯৮১.২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য মার্কিন স্বর্ণের ফিউচার ০.৮% বেড়ে প্রতি আউন্স ৩,৯৯১.৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
জুলিয়াস বেয়ার বিশ্লেষক কার্স্টেন মেনকে বলেছেন, ইক্যুইটি বাজারের মূল্যায়ন নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণে আর্থিক বাজারে রিস্ক-অফ মুডের সাম্প্রতিক পরিবর্তন ঘটছে। এ অবস্থা রেকর্ড স্তর থেকে স্বর্ণকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করছে।
ইউরোপীয় শেয়ারগুলো দুই সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। ইক্যুইটি মূল্যায়ন বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এদিকে ডলার সূচক তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চে পৌঁছানোর পরে ০.১% হ্রাস পেয়েছে। ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ কম ব্যয়বহুল করে তুলেছে।
এদিকে দেশের বাজারে বুধবার (৫ নভেম্বর) স্বর্ণ ভরিতে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা বিক্রি হবে। সর্বশেষ শনিবার (১ নভেম্বর) স্বর্ণ ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দর অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন