বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পাঁচ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৪ হাজার কোটি টাকা

রাজস্ব ভবন। ছবি : সংগৃহীত
রাজস্ব ভবন। ছবি : সংগৃহীত

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব ঘাটতি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। রাজস্ব আহরণে ধ্বস নেমে এসেছে আয়কর ও শুল্ক-কর আদায়েও। আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) রাজস্ব বাড়ানোর চাপের মধ্যে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি টাকা।

আর এই রাজস্ব ঘাটতির অর্ধেক আয়কর খাতে। এছাড়া শুল্ক-করেও রাজস্ব ঘাটতি আট হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যদিও গত অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের তুলনায় রাজস্ব আহরণ কিছুটা বেড়েছে।

এনবিআরের রাজস্ব আহরণের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। রাজস্ব আহরণে এনবিআরের তিনটি অনুবিভাগের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে আয়কর ও ভ্রমণ কর খাত। এই খাতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা।

আলোচ্য সময়ে এনবিআরের আয়কর বিভাগ আদায় করেছে ৪৭ হাজা ৮৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আয়কর খাতে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাড়িয়েছে খাতে ১২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। যদিও এনবিআরের হিসেবে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আয়কর খাতে প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ।

এছাড়া বেশি পরিমাণে ঘাটতির মুখে দাড়িয়েছে শুল্ক খাত। এই খাতে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে শুল্ক-কর আদায় হয়েছে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি দাড়িয়েছে কাস্টমস ৮ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। আর শুল্ক খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি থাকার কারণে ভ্যাট আদায় সন্তোষজনক হলেও আয়কর এবং শুল্ক খাতে রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতি খুবই নাজুক। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদেশি বিনিয়োগ এবং শিল্পায়নে ধীরগতি চলছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সমস্যা তো আছেই। সব মিলে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ভ্যাটের মতো নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

এনবিআর সূত্র জানায়, ভ্যাটের সিংহভাগ আসে সাধারণত আসে ভোক্তা থেকে। পণ্যে বাড়তি দাম থাকলে ভ্যাট আদায় একটু বাড়বে এটা স্বাভাবিক। তবুও চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায়ে রাজস্ব ঘাটতি আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা।

এই সময়ে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায়ে ঘাটতির পরিমাণ দাড়িয়েছে ৩ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। যদিও আলোচ্য সময়ে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এথিকাল মাইগ্রেশনে সার্বিয়ায় ১১ কর্মী পাঠালো এশিয়া কন্টিনেন্টাল

একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে : যুবদলের সভাপতি

ফয়সাল ও সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলার কোনো বিকল্প নেই : মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার সাবেক মেয়র

মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জেলা সহসভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৩

আওয়ামী লীগের ৮ নেতার পদত্যাগ

দগ্ধ বেলালকে দেখতে লক্ষ্মীপুরে তারেক রহমানের উপহার নিয়ে রিজভী

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

১০

হিন্দু যুবককে পিটিয়ে মারলেও সরকারের অবস্থান দেখা যায়নি : ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি

১১

সৌদিতে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২

আহমদ ছফার নামে সড়কের নামকরণ

১৩

সীমান্তে সাড়ে ২১ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

১৪

সড়কের এক কিমি যেন মরণফাঁদ, ছয় মাসে প্রাণহানি ১১

১৫

‘কোটি মানুষের বুক ভেদ করে তারেক রহমানের ক্ষতি করার শক্তি কারও নেই’

১৬

শ্রীলঙ্কায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি বার্তা

১৭

এক রাতে দুই পরিবারের ১০ গরু চুরি

১৮

শরিফ ওসমান হাদির কবরের পাশে চরমোনাই পীর

১৯

স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন / কেবল ডিগ্রি নয়, সক্ষমতা ও শৃঙ্খলাও জরুরি : আসিফ নজরুল

২০
X