অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্যানসার, হৃদরোগ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, টাইপ ২ ডায়াবেটিসসহ মানবস্বাস্থ্যের ৩২টি ক্ষতিকারক প্রভাবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গবেষণা বলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়াল (দানাদার খাবার), প্রোটিন বার, কোমল পানীয়, প্যাকেটজাত খাবার এবং ফাস্টফুড এসব আল্ট্রা-প্রসেসড ফুডের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গড় খাদ্যের অর্ধেকেরও বেশি আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড। বিশেষ করে অল্পবয়সী, দরিদ্র বা সুবিধাবঞ্চিত এলাকার বাসিন্দাদের খাদ্য তালিকার ৮০ শতাংশ আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড।
গবেষকরা জানান, এই গবেষণাটি করা হয়েছে প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষের ওপর। পরে এই গবেষণার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে মেডিকেল জার্নাল বিএমজেতে। মানবস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে উচ্চমাত্রার আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড, এর ফলে মানুষের খাদ্য তালিকা থেকে আল্ট্রা-প্রসেসড ফুডের পরিমাণ কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ইউনিভার্সিটি অব সিডনি এবং ফ্রান্সের সোরবোন ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন।
মেডিকেল জার্নাল বিএমজেতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সর্বশেষে বলা হয়েছে, ক্যানসার ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, অকাল মৃত্যু, কার্ডিওভাসকুলার, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল, শ্বাসযন্ত্র এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্য সমস্যাসহ মানবস্বাস্থ্যের ৩২টি ক্ষতিকারক প্রভাবের সঙ্গে আল্ট্রা-প্রসেসড ফুডের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, প্যাকেটজাত খাবার ও স্ন্যাকস, কোমল পানীয়, চিনিযুক্ত সিরিয়াল এবং রেডি-টু-ইট বা প্রস্তুতকৃত খাবারসহ আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড একাধিক শিল্প প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং প্রায়ই এগুলোতে রঙ, ইমালসিফায়ার, ফ্লেভার ও অন্যান্য উপাদান যোগ করা হয়। এসব পণ্যে অতিরিক্ত চিনি, চর্বি ও লবণ বেশি থাকলেও ভিটামিন এবং ফাইবার খুব একটা থাকে না বললেই চলে।
মন্তব্য করুন