ফোনালাপ ও বার্তা আদান-প্রদানে আড়ি পাতার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাকে আইনি বৈধতা দিয়েছে দেশটির সরকার। এতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে আরও পোক্ত হলো সামরিক বাহিনীর ভূমিকা।
স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় অর্ধেক সময়ই দেশটির ক্ষমতায় ছিল সামরিক বাহিনী। পাকিস্তানে সরকারকে ক্ষমতায় রাখা বা সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনী অতিমাত্রায় ভূমিকা রেখে আসছে। ফলে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-কে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার পার্লামেন্টকে জানান, অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ওপর নজরদারিতেই আইনটি সীমাবদ্ধ থাকবে। এতে জনগণের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন যাতে না হয়, সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
পার্লামেন্টে সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ -পিটিআই। এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুব। তিনি জানান, গোয়েন্দা সংস্থাটি তাদের এ ক্ষমতা সরকারি দলের আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে।
মন্তব্য করুন