কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর ঘোষণা পাকিস্তানের

পাকিস্তানের পতাকা। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

ধুঁকছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। তাই হাত পেতে চালাতে হচ্ছে দেশ। তারপরও বড়সড় এক ঘোষণাই দিয়ে বসলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ঋণ দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ কড়া কিছু শর্ত দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা। কিন্তু সে শর্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদের সরকার।

পাকিস্তানের বিদ্যুৎ খাতের অপরিশোধ করা ঋণ আইএমএফের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবার ঋণের ভার টেনে নেওয়াও সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই অর্থ সংকট কাটাতে আইএমএফের সঙ্গে আরও একটি চুক্তির পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান। রয়টার্স বলছে, চলতি মাসেই ওই চুক্তি হতে পারে। তবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে শাহবাজ জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবরের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়াবেন না তারা।

গেল বছর আইএমএফের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল পাকিস্তান। এর আওতায় গেল ১২ মাসে কয়েক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু আইএমএফের শর্তের রেশ গিয়ে পড়ে দেশটির দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ওপর। সে ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। গেল এপ্রিলে ওই কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু দেশ চালাতে হলে ঋণ নেওয়া ছাড়া পাকিস্তানের কাছে কোনো বিকল্প নেই।

তাই আবারও আইএমএফের দ্বারস্থ হচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু মঙ্গলবার শাহবাজ বলেন, আমরা জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর- এই তিন মাসের জন্য জনগণকে স্বস্তি দিচ্ছি। অক্টোবর মাসে সাধারণত তাপমাত্রা কমে যায়। তখন বিদ্যুতের চাহিদাও কম থাকে। সরকার ওই সময় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। যাতে করে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও মানুষের ওপর চাপ না পড়ে।

পাকিস্তানে বিদ্যুতের বার্ষিক ব্যবহার নিম্নমুখী। এক পরিসংখ্যান বলছে, গেল ১৬ বছরের মধ্যে এই প্রথম পাকিস্তানে বিদ্যুতের বার্ষিক ব্যবহার কমে যেতে পারে। এর মূল কারণ, বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়া বলে মনে করা হচ্ছে। দাম বাড়ায় মানুষজন বাসাবাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। তবে তিন মাস পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর ঘোষণা শুধু ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।

চলতি অর্থবছরের জন্য পাকিস্তান ১৩ লাখ কোটি রুপি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া দেশটি রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। পাকিস্তানের এমন বাজেট আইএমএফকে খুশি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সংকটে থাকা অর্থনীতির চাপে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। তাই উচ্চ কর তাদের ক্ষোভ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গোলকিপারের দুঃস্বপ্নের অভিষেকে ঘরের মাঠে সিটির হার

জাম্বুরা ফল কারা খেতে পারবেন না, জানালেন চিকিৎসক

যারা পিআর চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন : সালাহউদ্দিন

সন্তানকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া কি জায়েজ

৩১ দফার আলোকে হবে রাষ্ট্র গঠন : অমিত

খালেদা জিয়াকে দেখতে ফিরোজায় যাবেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী

ঘুষকাণ্ডে এবার জামায়াতের সেই আইনজীবীর সনদ স্থগিত

ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন, আলোচনা হবে যেসব ইস্যুতে

চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ যুবককে গণপিটুনি

সেই তন্বীর বিরুদ্ধে লড়বেন জান্নাতুন নাহার

১০

দুই বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল হেলপারের

১১

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যুতে সিইউজে’র শোক

১২

রাজধানীর পান্থপথে দেয়াল ধসে নিহত ১

১৩

কালকিনিতে আনিসুর রহমান খোকন / মায়েদের পাশে থাকবে বিএনপি

১৪

দিনে কত কাপ চা খাওয়া উচিত, জানালেন বিশেষজ্ঞ

১৫

২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস কেমন হবে, জানা গেল

১৬

শান্ত-সৌম্যর বাদ পড়ার কারণ জানালেন গাজী আশরাফ

১৭

বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী

১৮

‘এখন কাউকে ধরতে যৌক্তিক কারণ লাগে না, তবে সত্যের জয় হবে’

১৯

হাওরে নৌকা ডুবে নিখোঁজ ২

২০
X