পাকিস্তানে অপহরণের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে দুজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। উদ্ধার করা হয় তিন অপহৃতকে। রোববার (১১ মে) লাক্কি মারওয়াত পুলিশ খাইবার পাখতুনখোয়ার লান্দেওয়া গোরাবাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার অভিযানে একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বান্নু আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা (আরপিও) সাজ্জাদ খানের মুখপাত্র খানজালা খান জানান, সন্ত্রাসীরা লাক্কি মারওয়াতের লান্দেওয়া গোরোবাই এলাকায় তিনজন স্থানীয়কে অপহরণের চেষ্টা করে। ঘটনার তথ্য পাওয়ার পর স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি গোলাগুলি হয়।
মুখপাত্র জানান, সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এতে একজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ এবং ডিএসপি (ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ) সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে সন্ত্রাসীদের পিছু হটতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে পুলিশ তিনজন অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। সংঘর্ষে তিনজন সন্ত্রাসী আহত হন। সঙ্গীরা তাদের পাহাড়ে নিয়ে যায়। অপরদিকে ঘটনাস্থলেই নিহত হওয়া দুজন সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মুখপাত্র আরও জানান, লাক্কি মারওয়াত জেলা পুলিশ কর্মকর্তা জাওয়াদ পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে তল্লাশি অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ কাজে স্থানীয় শান্তি কমিটিগুলো পুলিশের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত তাদের আস্তানার সন্ধান মিলবে।
২০২২ সালের নভেম্বরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী টিটিপি সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করার পর পাকিস্তানে বিশেষ করে কেপি এবং বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়েছে।
২০২৫ সালের গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে পাকিস্তান দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত এক বছরে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বেড়ে ১,০৮১-এ পৌঁছেছে।
তবে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। মার্চের তুলনায় সন্ত্রাসী হামলা এবং হতাহতের সংখ্যা কমেছে।
মন্তব্য করুন