কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিতর্কিত মন্তব্য, ভারতকে হুঁশিয়ারি সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রীর

সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছবি : সংগৃহীত
সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সিন্ধু। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দিনে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করুন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিওনিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিন্ধু পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য এবং অঙ্গীভূত অংশ। সিন্ধু ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও পাকিস্তানের অংশ থাকবে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিং ইতিহাসের সাথে অচেনা।

মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ বলেন, সিন্ধু ১৯৩৬ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই, বোম্বাই প্রেসিডেন্সি থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। সিন্ধুর মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাদের স্বায়ত্তশাসন, মর্যাদা এবং রাজনৈতিক পরিচিতি প্রাধান্য দিয়েছে।

ভারতীয় মন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিভাজন নিয়ে মনোযোগ দিন, আমাদের ব্যাপারে দিবাস্বপ্ন দেখা বন্ধ করুন।

এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিংয়ের মন্তব্য উদ্ধৃত করে জানায়, আজকের দিনে, সিন্ধুর জমি হয়তো ভারতের অংশ নয়, কিন্তু সভ্যতাগতভাবে, সিন্ধু চিরকাল ভারতের অংশ থাকবে। আর যতটুকু জমির কথা, সীমান্ত বদলাতে পারে। কে জানে, কাল সিন্ধু আবার ভারত ফিরে আসতে পারে।

ভারতীয় মিডিয়া আরও দাবি করেছে যে সিং বলেছিলেন, তার প্রজন্মের সিন্ধি হিন্দুরা কখনও পুরোপুরি পাকিস্তানের সাথে সিন্ধুর সংযুক্তি মেনে নেননি।

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার ভারতীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এটিকে কল্পনাপ্রসূত, সংশোধনমূলক এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।

একটি বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিংয়ের মন্তব্য ‘একটি সম্প্রসারণবাদী হিন্দুত্ব মানসিকতা’ প্রতিফলিত করে যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটি স্বীকৃত সীমান্ত চ্যালেঞ্জ করে এবং রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভারতীয় নেতাদের উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়া বন্ধ করা উচিত এবং এর পরিবর্তে ভারতের নিজস্ব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, বিশেষত দুর্বল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর জন্য, যারা ধর্মভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয় এবং যাদের বিরুদ্ধে ইতিহাসের বিকৃতির কারণে বৈষম্য হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৫ ধরনের ব্যক্তির জন্য পেঁপে খাওয়া বিপজ্জনক

জামায়াত আমিরের সঙ্গে কসোভোর সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

একটানা লম্বা ছুটিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট / চার দিনের মধ্যে দাবি না মানলে শাটডাউন

প্রকাশিত হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি, প্রথম দিনই মাঠে নামছে বাংলাদেশ

হাঁস নাকি মুরগির ডিম বেশি উপকারী? যা বলছেন পুষ্টিবিদ 

ধানের শীষের পক্ষে জনমত গড়তে হবে : মফিকুল হাসান

‘বাউলিয়ানার নামে ভণ্ডামি ছাড়ুন’

পুরুষ বাউলদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য হাসিনা সরকারের

আবুল সরকারের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করল এনসিপি

১০

মেট্রোর অনলাইন রিচার্জে ধস, ৪ ঘণ্টায় ৭ লাখ হিট 

১১

নির্বাচন আয়োজনে সরকার ও কমিশন প্রস্তুত : উপদেষ্টা শারমীন

১২

শহুরে ব্যস্ততায় স্বস্তি দিতে আমিন মোহাম্মদ এগ্রোর প্রাকৃতিক পিকনিক স্পট

১৩

জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়াই কপ-৩০ চুক্তি, শক্তি রূপান্তর কি তাহলে থমকে গেল?

১৪

এমআইইউর ফার্মেসি বিভাগের ৪০তম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

১৫

কৃষকরাই বাংলাদেশের প্রাণ : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১৬

এলিট গ্রাহকদের জন্য রবির বিশেষ আয়োজন

১৭

গৌরনদীতে ধানের শীষের প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের গণজোয়ার

১৮

শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাল জামায়াত

১৯

নারীর শক্তিই আমাদের বিজয়ের শক্তি : সেলিমা রহমান

২০
X