পাকিস্তানে ভোটগ্রহণের পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও এখনো সরকার গঠন সম্ভব হয়নি। যদিও সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রী আর প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা ভাগাভাগি হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী পদে ছোট ভাই শাহবাজ শরিফকে মনোনয়ন দিয়েছেন নওয়াজ শরিফ। তাকে এ পদে মনোনয়নের কারণ জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানী ইসলামাবাদে পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) সংসদীয় দলের বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নওয়াজ শরিফ। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য শাহবাজই সেরা পছন্দ।
কঠিন সময়ে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে শাহবাজের দূরদর্শিতার স্বীকৃতি দেন নওয়াজ। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে খেলাপি হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে যে সাহসিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন তার প্রশংসা করা উচিত।
তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে পাকিস্তানের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। সম্ভাব্য প্রতিকূলতার মুখে তিনি দলে সদস্যদের অবিচল ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
পাকিস্তানে ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপর শাহবাজের নেতৃত্বে বিরোধীরা দেশটির সরকার গঠন করে। ১৬ মাস তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের ২১ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হবে। অর্থাৎ সেই হিসেবে আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি ডেডলাইন রয়েছে। এর মধ্যে শপথ এবং অধিবেশন না বসলে নতুন জটিলতা দেখা দেবে।
এর আগে, গত সপ্তাহে দেশটির সংসদবিষয়ক বিভাগ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে সারসংক্ষেপ পাঠায়। এর জবাবে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, সংসদের নিম্নকক্ষ সম্পূর্ণ না হওয়ায় তিনি অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন না।
তবে, জাতীয় পরিষদের স্পিকার ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকায় নতুন সরকার গঠন বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো।
মন্তব্য করুন