কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যে শঙ্কায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন টিউলিপ

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি : সংগৃহীত
টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি : সংগৃহীত

একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দলের ভেতরেই প্রবল চাপে পড়েন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। একপর্যায়ে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান নেতা কেমি ব্যাডেনোচ তাকে বরখাস্তের আহ্বান জানান। কিন্তু কিয়ার স্টারমারের নীরবতা এবং প্রথম দিকে টিউলিপের পক্ষাবলম্বন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকেও চাপে ফেলে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনের ফলে পরিস্থিতি লেবার পার্টির ইমেজ রক্ষার দিকে গড়াতে থাকে। মন্ত্রিত্ব থেকে যে বরখাস্ত করা হতে পারে তা টিউলিপও ইঙ্গিত পেয়েছিলেন।

দ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ বলছে, কিয়ার স্টারমার সরকার গঠন করার পর থেকেই প্রশাসনিক নীতিনির্ধারণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বেশ কঠোর বলেই পরিচিত। খুব সাধারণ কারণেও কর্মকর্তাদের বরখাস্ত বা পদত্যাগে বাধ্য করেছেন তিনি।

অপর এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, কিয়ার স্টারমার এবং টিউলিপের মধ্যে দীর্ঘ বন্ধুত্ব রয়েছে। এই জুটির রাজনৈতিক বন্ধন ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়। তখন টিউলিপ ইতোমধ্যেই হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্নে লেবারের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। অপরদিকে প্রতিবেশী হলবর্ন এবং সেন্ট প্যানক্রাসে বিজয়ের জন্য লড়ছিলেন স্যার কিয়ার। টিউলিপ সে সময় কিয়ারের পাশে দাঁড়ান। ২০১৫ সালের নির্বাচনে একই রাতে তারা একসঙ্গে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেন। এ ছাড়া সর্বশেষ নির্বাচনে কিয়ারের পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রচার চালিয়েছিলেন।

দ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ বলছে, তাই সরকারের কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করছেন- দুর্নীতি দমন মন্ত্রী হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের অবস্থান অযোগ্য বলে স্পষ্ট হয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রী কী এত দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? যার মাধ্যমে তিনি তার বিরুদ্ধে বিতর্ক থামিয়ে দিতে পেরেছিলেন? ১০ নম্বর ডাউন স্ট্রিটের সূত্র জানিয়েছে, ম্যাগনাসের তদন্তের ফলাফলে অনিবার্য দুর্নীতি প্রমাণিত হলেও স্টারমার নিয়ম অনুযায়ী টিউলিপকে সরাতে চেয়েছিলেন।

সূত্রের একজন বলেন, আমরা সব সময় জানতাম, এটি কীভাবে শেষ হবে। কিন্তু কিয়ার মনে করেছিলেন, সরকারি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়াই সঠিক। কিছু প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টিউলিপের সম্পর্ক উঠে এসেছে। সেসব অনুযায়ী তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু না হলেও, টিউলিপ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।

পরিস্থিতি বলছে, কিয়ার স্টারমার টিউলিপকে সম্মান দিয়েছেন। টিউলিপ নিজেই বুঝতে পারছিলেন তাকে কী করতে হবে। সময়মতো পদত্যাগের ঘোষণা তাই প্রমাণ করে। অপরদিকে সরকার তাকে মান উপদেষ্টার কাছে নিজেকে তদন্তের জন্য সমর্পণের কথা উল্লেখ করে কৃতিত্ব দিয়েছে। যদিও গার্ডিয়ান বুঝতে পারছে যে, টিউলিপকে সরানোই ছিল বাস্তব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের ‘যৌক্তিকতা’ নিয়ে প্রশ্ন এনসিপি নেতার

যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের 

খালেদা জিয়াকে হয়রানিতে দুদকের সাবেক ৩ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

৯ জিম্মির বিনিময়ে ২ মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের

পাওনা টাকার জেরে হত্যা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজনের যাবজ্জীবন

টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের ‘কফিন মিছিল’

ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হলো নুসরাত ফারিয়াকে 

‘আমি যে তাদের স্বার্থপর ছেলে’ লিখে যুবকের আত্মহত্যা

ইসরায়েলকে এআই সেবা দেওয়ার কথা স্বীকার মাইক্রোসফটের

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অলি আহমদ

১০

ফার্ম কর্মচারীকে জবাই করে হত্যা

১১

হবিগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে আহত ২০

১২

খুবিতে হত্যাচেষ্টা মামলা নিয়ে বিতর্ক, রিমান্ড নামঞ্জুর

১৩

ইউআইইউ’র টেলিকম ও আইসিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ অর্জন

১৪

রাতে দিল্লির ম্যাচে কি দেখা যাবে মোস্তাফিজকে?

১৫

সংঘাত নয়, শান্তিই পাকিস্তানের অগ্রাধিকার : আইএসপিআর

১৬

গৌরবের বদলে গ্লানির গল্প: ম্যানসিটির ভুলে যাওয়ার মতো মৌসুম

১৭

জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশি হামলা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

১৮

বিচারককে হেনস্তা : বিএনপিপন্থি চার আইনজীবীকে শোকজ

১৯

২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

২০
X