লস অ্যাঞ্জেলেসে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ শহরে। এর মধ্যে নিউইয়র্ক ও টেক্সাসের একাধিক শহরে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় টেক্সাসেও মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড।
বিবিসির সংবাদে বলা হয়, অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে নিউইয়র্ক, টেক্সাসের একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। নিউইয়র্কে বিক্ষোভ বেশিরভাগই শান্তিপূর্ণ। তবে একাধিক গ্রেপ্তার উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েনের ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। তবু টেক্সাসেও বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। বিবিসি উত্তর আমেরিকার সংবাদদাতা অ্যান্থনি জুরচার জানান, রক্ষণশীল-অধ্যুষিত টেক্সাস প্রশাসন বেশ কঠোর। মনে হচ্ছে, সেখানে লস অ্যাঞ্জেলেস পরিস্থিতি তৈরি হতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কর্মকর্তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে মনে হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলেসে, নিউইয়র্ক, আটলান্টা, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া, ডালাস, অস্টিন এবং সান ফ্রান্সিসকোসহ কমপক্ষে ১০টি মার্কিন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভের ফলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন।
লস অ্যাঞ্জেলেস সময় মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ৮টায় কারফিউ শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, পাঁচ দিনের বিক্ষোভে যেভাবে অস্থিরতা বেড়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় এ কারফিউ জারি করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
কারফিউ শুরুর ঠিক আগে লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করা সবার মোবাইল ফোন নাম্বারে ক্ষুধে বার্তা আসে। শহরটির মেয়র ক্যারেন ব্যাসের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তায় বলা হয়, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি সেবা চাওয়া বা প্রদান করা এবং জরুরি সেবাকর্মীরা কারফিউর আওতামুক্ত থাকবেন।
মন্তব্য করুন