ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো হলো ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান।
ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, ফোরদো স্থাপনায় ‘পূর্ণ শক্তির বোমা হামলা’ চালানো হয়েছে এবং সব মার্কিন বিমান এখন যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে রয়েছে।
ট্রাম্প লেখেন, আমরা ফোরদোতে মূল লক্ষ্যবস্তুতে সম্পূর্ণ পরিমাণ বোমা ফেলে সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান নিরাপদে দেশে ফেরার পথে। আমাদের মহান আমেরিকান যোদ্ধাদের অভিনন্দন! পৃথিবীতে আর কোনো সেনাবাহিনী নেই যারা এই কাজ করতে পারত। এখনই শান্তির সময়। এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি শাসনের আগ্রাসী যুদ্ধে জড়ানোর বিপজ্জনক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের সঙ্গে এই যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ে, তবে তা ‘সবার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হবে।
ইউরোপীয় কূটনৈতিকদের সঙ্গে জেনেভায় আলোচনার পর ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন তিনি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়, তবে তা তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে।
এর আগে ১৮ জুন এক টেলিভিশন ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনিও যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিলে আমেরিকা ‘অপূরণীয় ক্ষতির’ মুখে পড়বে।
মন্তব্য করুন