ইরানের পাল্টা হামলায় ক্রমেই বাড়ছে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র-জার্মান থেকে সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে ইসরায়েলে নেমেছে এক ডজনের বেশি বিমান। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা পাঠালে হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান।
শনিবার (২১ জুন) জর্ডানের সংবাদমাধ্যম রয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যেই তৃতীয় কোনো দেশ থেকেস সামরিক সহায়তা পাঠানো হলে তা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, যেকোনো দেশ যদি নৌপথ বা আকাশপথে ইসরায়েলি বাহিনীকে সামরিক বা রাডার সরঞ্জাম পাঠায়, তাহলে তা ইসলামি ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে অংশগ্রহণ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
এর আগে ইসরায়েলে সঙ্গে চলমান যুদ্ধের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি শাসনের আগ্রাসী যুদ্ধে জড়ানোর বিপজ্জনক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের সঙ্গে এই যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ে, তবে তা ‘সবার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়, তবে তা তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে।
এর আগে ১৮ জুন এক টেলিভিশন ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনিও যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিলে আমেরিকা ‘অপূরণীয় ক্ষতির’ মুখে পড়বে।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলের বাস্তবতা সম্পর্কে যারা জানে, তারা ভালোভাবেই বোঝে—এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা শতভাগ তাদের নিজেদের ক্ষতির কারণ হবে। তারা যা ক্ষতি করবে, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এই ক্ষতি হবে স্থায়ী ও অপূরণীয়।
মন্তব্য করুন