কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মধ্যপ্রাচ্যে আরও ঘাঁটি বানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, বাড়াচ্ছে অস্ত্রের মজুত

দক্ষিণ ইসরায়েলের রেইম সামরিক ঘাঁটিতে অবতরণ করা একটি হেলিকপ্টারের পাশে এক ইসরায়েলি সেনা । ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ ইসরায়েলের রেইম সামরিক ঘাঁটিতে অবতরণ করা একটি হেলিকপ্টারের পাশে এক ইসরায়েলি সেনা । ছবি : সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ঘাঁটি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইসরায়েলে থাকা সামরিক ঘাঁটিতে অবকাঠামো বাড়াচ্ছে। এ ছাড়া অস্ত্রের মজুতও বৃদ্ধি করছে।

মঙ্গলবার (৮ মঙ্গলবার) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে ব্যাপক সামরিক অবকাঠামো গড়ে তুলছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে বিমানঘাঁটি, গোলাবারুদের গুদাম এবং অন্যান্য সামরিক স্থাপনা রয়েছে। প্রকল্পগুলোর ব্যয় বর্তমানে ২৫ কোটিরও মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতে এ ব্যয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সরকারি নথির বরাত দিয়ে ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ জানায়, এসব অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ আগ্রহী ঠিকাদারদের আহ্বান জানায়। এই উদ্যোগ জুনে শুরু করার কথা থাকলেও সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

প্রকল্পগুলোর আওতায় পুরোনো বিমানঘাঁটিগুলোর সংস্কারের পাশাপাশি নতুন করে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের জন্য হ্যাঙ্গার, জ্বালানি সরবরাহ কেন্দ্র, মেরামতের ঘর এবং গোলাবারুদের গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি প্রকল্পে যুদ্ধবিমানের জন্য হ্যাঙ্গার ও মালপত্র রাখার ঘর তৈরিতে ১০ কোটি ডলার ব্যয় হতে পারে। অন্যদিকে হেলিকপ্টার ঘাঁটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ২৫ কোটি ডলার।

আরও একটি প্রকল্পে গোলাবারুদ সংরক্ষণের জন্য ১০ কোটি ডলারের গুদাম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে সাত বছরের জন্য নির্মাণ, মেরামত এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি ডলার পর্যন্ত। প্রকল্পগুলোর অবস্থান প্রকাশ করা না হলেও জানা গেছে, সেগুলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এই অর্থের বড় অংশ আসছে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সামরিক সহায়তা তহবিল থেকে। এই তহবিলের আওতায় ইসরায়েল প্রতিবছর প্রায় ৩৮০ কোটি ডলার পেয়ে থাকে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ সিদ্ধান্তে ব্যয় করা হয় এবং মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঠিকাদারদের মধ্যেই বিতরণ করা হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল অতিরিক্তভাবে আরও প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার সামরিক সহায়তা পায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র পূর্বেও ইসরায়েলের সামরিক অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করেছে। ২০১২ সালে একটি বিমানঘাঁটিতে তারা ‘৯১১ নম্বর স্থাপনা’ নামে একটি গোপন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছিল।

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, সাম্প্রতিক ১২ দিনের ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে ইরান থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। তবে বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর পরিকল্পনা এই যুদ্ধের আগেই গ্রহণ করা হয়েছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পায়রা থেকে ১৯৬০ কিমি দূরে নিম্নচাপ, বাতাসের গতিবেগ ৪০ কিমি

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় তিন স্তরের ব্যবস্থা থাকবে : ইসি সচিব

গিনি-বিসাউয়ের ক্ষমতা দখল সেনাবাহিনীর, প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার

বিপিএলের নিলামে ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম

ঘরে দুর্বল ওয়াই-ফাই? কয়েকটি সহজ পরিবর্তনেই মিলবে দারুণ স্পিড

রিকশাচালকদের জন্য সুখবর দিল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

‘আমি শাহজাহান চৌধুরী, যারা চেনেনি তারা মাটির নিচে বাস করে’

এরশাদ ও হাসিনার চরিত্রে কোনো পার্থক্য নেই : রিজভী

বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ২৭ ডিসেম্বর

বিশ্বের প্রথম এক ডোজের ডেঙ্গু টিকার অনুমোদন

১০

জ্বালানি তেলের দাম কমছে

১১

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

১২

মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কাঁপল সিলেট

১৩

সম্পর্কে পুরুষরা যে ১০ জিনিস চান

১৪

শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন না হওয়ায় অখুশি রাষ্ট্রপক্ষ  

১৫

বিষ দিয়ে ২০০ বক্স মৌমাছি হত্যা, দিশেহারা মৌচাষি

১৬

জামায়াতে যোগ দিচ্ছেন পাইলট? প্রশ্নের জবাব দিলেন নিজেই

১৭

সিসিইউতে বেগম খালেদা জিয়া

১৮

অস্তিত্ব সংকটে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ, নেই আর হাঁকডাক

১৯

সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

২০
X