

যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে অসন্তোষ বাড়লেও দাম কমানোর কৃতিত্ব নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে ম্যাকডোনাল্ডসের সমাবেশে তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসন মুদ্রাস্ফীতি ‘স্বাভাবিক’ মাত্রায় নিয়ে এসেছে। খবর আল জাজিরার।
ট্রাম্প বলেন, আমরা দাম বেশ নিচে নামিয়েছি। আরও কমাব। আমরা নিখুঁত অবস্থা চাই।
তিনি ডেমোক্র্যাটদের অর্থনৈতিক নীতিকে দোষারোপ করে দাবি করেন, ২০২৪ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ছিল পুরো অগোছালো এবং আমেরিকানরা ভাগ্যবান যে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে জরিপ বলছে ভিন্ন কথা। এনবিসি নিউজের সাম্প্রতিক এক জরিপে ৬৬ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে ট্রাম্প প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। ৬৩ শতাংশ মনে করেন, সমগ্র অর্থনীতিতেও তার পারফরম্যান্স হতাশাজনক।
সম্প্রতি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের উপনির্বাচনে রিপাবলিকানদের বড় ধরনের পরাজয়ের পেছনেও এই মূল্য সংকটকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
মূল্য নিয়ন্ত্রণের চাপ মোকাবিলায় গত শুক্রবার ট্রাম্প ২০০ ধরনের খাদ্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর নির্দেশনা সই করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে গরুর মাংস, কলা, কফি ও কমলার রস। এছাড়া তিনি শুল্ক আয় থেকে ২ হাজার ডলারের রিবেট চেক দেওয়ার কথাও বলেছেন। বাড়তি চাপ কমাতে ৫০ বছরের মর্টগেজ চালুর কথাও তুলেছেন তিনি।
বাইডেন প্রশাসনের সময় ৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছানো মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও এখনো ফেডারেল রিজার্ভের কাঙ্ক্ষিত ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার ওপরে রয়েছে। অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ম্যাকডোনাল্ডসের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা বারবার বলেছেন ট্রাম্প। বক্তৃতায় তিনি এই ফাস্টফুড চেইনকে তার অর্থনৈতিক পরিকল্পনার প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানান। কোম্পানিটিকে কম দামে ‘এক্সট্রা ভ্যালু মিল’ ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, আমরা যখন দেশের দাম কমানোর জন্য লড়ছি, তখন ম্যাকডোনাল্ডস আমাদের সেরা সহযোগী।
মন্তব্য করুন