বুয়েনস আইরেস থেকে মিয়ামির পথে রওনা হওয়ার কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু বিধি বাম। হঠাৎ ফ্লাইটে শোনা গেল অশনি সংকেত। জানা গেল, একটি-দুইটি নয় তিনটি বোমা রয়েছে ওই ফ্লাইটে!
একটি অডিও বার্তা এলো ফ্লাইটের এক কর্মীর কাছে। সেখানে বলা হয়, ‘ক্যাপ্টেনকে জানান, মিয়ামি ফ্লাইটে তিনটি বোমা রেখেছি আমরা। বিমানে দ্রুত তল্লাশি চালান! কারণ এটা হাজার হাজার টুকরো হয়ে যাবে।’
এমন ভীতিকর সতর্কতা পেয়ে বুয়েনস আইরেসের ইজিজা বিমানবন্দরেই ক্রুরসহ ২৭০ যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় বোমা স্কোয়াডকে। কিন্তু বহু খোঁজার পরও বোমা জাতীয় কিছুই মিলল না। পরে জানা গেল এটি পুরোটাই ছিল একটি সাজানো নাটক বা প্রতারণা।
প্রথমে বোঝা যাচ্ছিল না কে বা কারা এমন কাজ করতে পারে। পরে ফ্লাইটের একজন অ্যাটেন্ডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে আসল সত্য।
ড্যানিয়েলা কার্বন নামের ওই ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট জানান, বিমানে যাত্রীদের ভেতর একজন ছিলেন তার সাবেক প্রেমিক। প্রেমিকা নিয়ে সে মিয়ামিতে ছুটি কাটাতে যাচ্ছিল। কিন্তু বিষয়টি সহ্য হয়নি ড্যানিয়েলো কার্বনের। সে ঈর্ষান্বিত হয়ে তার কন্যাসন্তানের ফোন থেকে ভুয়া সতর্কবার্তা ছড়িয়ে যাত্রা বাতিল করেন।
ড্যানিয়েলা কার্বোনকে মঙ্গলবার বুয়েনস আইরেসের একটি আদালতে তোলা হয়। জনসাধারণকে ভয় দেখানো এবং সরকারি পরিষেবায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের ইয়ার্কির জন্য, বিমান সংস্থাটির আনুমানিক ১০ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে।
মন্তব্য করুন