সারাবিশ্বে নিত্যনতুন বিষয়ে বিভিন্ন দেশ, নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের নানামুখী নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য সামান্যতম হুমকি হতে পারে এমন যে কোনো দেশ বা ব্যক্তির ওপরই এসব নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি। কিছুক্ষেত্রে রাষ্ট্রের স্বার্থে নিজ দেশের বিভিন্ন রপ্তানিকারকের ওপরেও এসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এবার যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকান চিপ নির্মাতাদের চীনাদের কাছে সেমিকন্ডাক্টর বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছে। তাদের সংবাদ অনুযায়ী, চিপ রপ্তানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ এটি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন নতুন কিছু চীনে চিপ রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করতে নতুন ব্ল্যাকলিস্ট তৈরি করা হচ্ছে। নাম না উল্লেখ করে এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, বড় পরিসরে চীনে এআই চিপ রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কারিগরি পরিসরের কথা বিবেচনায় এনে নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে সরকার।
কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত চিপ এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কমার্স ডিপার্টমেন্টকে দেশটির সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতারা তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চিপগুলো কখন চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের কাছে রপ্তানি করা হবে তা জানাতে বাধ্য থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংশ্লিষ্ট এজেন্সি প্রতিটি চিপ রপ্তানি যাচাই করে দেখবে। যাচাইয়ে এসব চিপ রপ্তানি কোনোভাবে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি কিনা তা নিরূপণ করবে সংস্থাগুলো। এ ছাড়া চিপ রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র পারফরম্যান্স ডেনসিটি প্যারামিটার নামের নতুন একটি ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে যেটির কারণে ভবিষ্যতে চীনে চিপ রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে।
রয়টার্স জানায়, বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, নতুন এসব বিধি যুক্তরাষ্ট্রের চিপ এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ দিয়ে যেন চীনা সামরিক বাহিনী লাভবান না হয় সে কারণেই এগুলো আরোপ করা হচ্ছে। এদিকে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনা প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তাদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্কে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এ নিষেধাজ্ঞা ঐতিহাসিক।
মন্তব্য করুন