কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৭ এএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ন্যাটোভুক্ত দেশে হামলা চালাতে রাশিয়াকে সমর্থন দেবেন ট্রাম্প!

ন্যাটোভুক্ত দেশে যদি রাশিয়া হামলা চালাতে চায়; তাহলে পুতিন বাহিনীকে সমর্থন দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
ন্যাটোভুক্ত দেশে যদি রাশিয়া হামলা চালাতে চায়; তাহলে পুতিন বাহিনীকে সমর্থন দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

ন্যাটোভুক্ত যেসব দেশ প্রতিরক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করবে না সেসব দেশে যদি রাশিয়া হামলা চালাতে চায়; তাহলে পুতিন বাহিনীকে সমর্থন দেবেন বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি, স্থানীয় সময়) দক্ষিণ ক্যারোলিনাতে একটি জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। দ্যা গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তরের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু ব্যাটস ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘আতঙ্কজনক এবং বিকৃত মস্তিষ্ক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

নাম উল্লেখ না করে ট্রাম্প তার জনসভায় উপস্থিত সমর্থকদের জানান, ন্যাটোর একটি ‘বড় দেশের’ নেতা তাকে বলেছিলেন, রাশিয়া যদি তার দেশের ওপর হামলা চালায়। তাহলে সাহায্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে কি না। জবাবে ওই নেতাকে তিনি বলেছিলেন, না যুক্তরাষ্ট্র সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে না, কারণ ওই দেশ ন্যাটোতে না। এমনকি রাশিয়ার যা মন চায় তা করতে ট্রাম্প পুতিনকে উদ্বুদ্ধ করবেন বলেও জানান।

ট্রাম্প এমন সময় এ মন্তব্য করলেন; যখন কিছু দেশ আশঙ্কা করছে ইউক্রেনের পর এখন তাদের দেশে হামলা চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত হয় ন্যাটো জোট। লক্ষ্য ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তথা বর্তমান রাশিয়ার আক্রমণ থেকে অন্যান্য দেশকে রক্ষা করা। এটির মূলনীতি হলো যদি জোটের কোনো দেশ হামলার স্বীকার হয় তাহলে সবাই একসঙ্গে লড়াই করবে।

সামরিক জোট ন্যাটোতে যেসব দেশ রয়েছে সেসব দেশকে তাদের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়। মূলত সামরিক দিক দিয়ে নিজেদের শক্তিশালী থাকতে এমন নিয়ম রাখা হয়েছে জোটে। কিন্তু বর্তমানে ন্যাটের ৩১ সদস্য দেশের মধ্যে মাত্র ১১টি দেশ তাদের জিডিপির দুই শতাংশ সামরিক খাতে খরচ করেছে। এ জন্য ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় হুমকি দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যাবে।

তবে গত মাসে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৮৮৬ বিলিয়ন ডলারের একটি সামরিক আইন করেন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কঠিন করে দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প আবারও ক্ষমতাসীন হলে ন্যাটো জোট নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাল টাকার নোটসহ আটক ২

রাজশাহীতে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এসএ সিদ্দিক সাজুকে বিএনপির শোকজ

বিএনপি নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বিতা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ : সেলিমা রহমান

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেপ্তার

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত : রিজভী

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামলা, কমান্ডারকে নিহতের দাবি ইসরায়েলের

রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

এ দেশ সবার, কারো একার না : সালাউদ্দিন বাবু

‘স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় না গিয়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে ফিরে যান’

১০

ফাইনাল জিততে বাংলাদেশের দরকার ১২৬ রান

১১

শাহজাহানের বক্তব্য সমর্থন করে না জামায়াত

১২

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’, নামের অর্থ জানুন

১৩

প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু

১৪

বাংলাদেশে বাস করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা কাম্য নয় : কাদের সিদ্দিকী

১৫

নরসিংদীতে ভূমিকম্প আতঙ্ক / ঘর ছেড়ে রাস্তা-মাঠে নির্ঘুম রাত, শহর ছাড়ার ভাবনা

১৬

ঘাস খাওয়ায় গরুর পায়ের রগ কাটল প্রতিবেশী

১৭

রেস করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ তরুণের

১৮

কবিতা-গানের মনোমুগ্ধময় সন্ধ্যা― ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’

১৯

রেফারি বিতর্ক নিয়ে বার্সাকে ফের আক্রমণ রিয়াল সভাপতির

২০
X