ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের আর কোনো গুরুত্ব নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মার্কিন সেনাদপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট রাইডার।
প্যাট রাইডার বলেন, ‘বর্তমানে ইউক্রেনে যুদ্ধ ওয়াগনার কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে, তেমন কোনো প্রমাণ দেখছে না মার্কিন সামরিক বাহিনী।’ অধিকাংশ ওয়াগনার যোদ্ধা রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেন ভূখণ্ডে অবস্থান করছে বলেও জানান তিনি।
গত ২৩ জুন রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাত করতে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ঘোষণার পর পর দেশটির রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রাও করে ওয়াগনার বাহিনী। তবে ওইদিন রাতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোজিন।
এ বিদ্রোহের পর রাশিয়ায় ওয়াগনার বাহিনীর কোনো ভবিষ্যৎ নেই বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘ওয়াগনারের কোনো অস্তিত্ব নেই। বেসরকারি সেনাদল নিয়ে আমাদের দেশে কোনো আইন নেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কমার্স্যান্টকে একটি সাক্ষাৎকার দেন পুতিন। সাক্ষাৎকারে ওয়াগনারের বিদ্রোহের পর দলটির কমান্ডারদের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠক এবং দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘এই দলটি আছে। তবে আইনগতভাবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এটা ভিন্ন বিষয়। আইনি বিষয় আছে। এ জন্য স্টেট ডুমা ও সরকারের অনুমোদন দরকার। এটি একটি জটিল প্রশ্ন।’
বিদ্রোহ সম্পর্কে পুতিনের অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো অভিমত নেই। আপনার বা ন্যাটোর অভিমত থাকতে পারে। আমি বলতে পারি আসলে কী ঘটেছে।’
এ ছাড়া বিদ্রোহের পর ২৯ জুন ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এ বিষয়ে পুতিন জানান, তিনি মূলত ওয়াগনার কমান্ডারদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, যারা সম্মানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তবে প্রিগোজিনও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ওই বৈঠকে আমি যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম এবং গত ২৪ জুনের ঘটনা সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছি। এ ছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রসহ তারা কীভাবে তাদের সেবা দিয়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে সম্ভাব্য পথ নির্দেশ করেছি।’
মন্তব্য করুন