রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কমার্স্যান্টকে একটি সাক্ষাৎকার দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাক্ষাৎকারে ওয়াগনারের বিদ্রোহের পর দলটির কমান্ডারদের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠক এবং দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
এ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ওয়াগনারবাহিনী সৈন্যরা রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে একটি ইউনিট হিসেবে লড়াইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে নিশ্চিত করেছে।
কমারস্যান্ট সংবাদপত্রকে তিনি বলেন, মস্কোতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ওয়াগনার নেতারা বিষয়টির সঙ্গে একমত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে প্রিগোজিনের উত্তর ছিল, ‘আমার লোকেরা এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হবে না।’
২২-২৩ জুনে ঘটে যাওয়া বিদ্রোহের কয়েক দিন পর এসব কথা হয় বলে জানায় বিবিসি। এই চুক্তি অনুযায়ী, ওয়াগনারের ভাড়াটে যোদ্ধাদের রাশিয়ান সেনার সঙ্গে যোগ দিতে অথবা বেলারুশের পথে রওনা হতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া পূর্ণশক্তি নিয়ে আক্রমণের পর থেকে ওয়াগনার বাহিনী অনেকগুলো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লড়াই করেছে।
যদিও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে এখন আর উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ওয়াগনার যোদ্ধা অংশ নিচ্ছে না। পেন্টাগন মুখপাত্র প্যাট রাইডারও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘ওয়াগনার বাহিনীর বেশিভাগ সদস্য রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে রয়েছে।’
এদিকে বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওয়াগনার যোদ্ধারা এখন সামরিক প্রশিক্ষক হিসেবে প্রতিরক্ষাবাহিনীগুলোতে কর্মরত আছেন।
এর আগে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, পুতিন প্রিগোজিনসহ ৩৫ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গত ২৯ জুন ক্রেমলিনে ওই বৈঠক হয়। তাদের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা কথা হয়েছে।
এ বিদ্রোহ সম্পর্কে পুতিনের অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো অভিমত নেই। আপনার বা ন্যাটোর অভিমত থাকতে পারে। আমি বলতে পারি আসলে কী ঘটেছে।’
পুতিন জানান, তিনি মূলত ওয়াগনার কমান্ডারদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, যারা সম্মানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তবে প্রিগোজিনও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ওই বৈঠকে আমি যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম এবং গত ২৪ জুনের ঘটনা সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছি। এ ছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রসহ তারা কীভাবে তাদের সেবা দিয়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে সম্ভাব্য পথ নির্দেশ করেছি।’
মন্তব্য করুন