দক্ষিণ কোরিয়া থেকে হাসতে হাসতে স্বেচ্ছায় সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের পর আটক হয়েছেন এক মার্কিন সেনা। এ ঘটনার পর উত্তর কোরিয়া নিয়ে নতুন করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে ওয়াশিংটন। এমনকি এ ঘটনার জেরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে এক পরিদর্শনের সময় অনুমতি ছাড়াই ওই সেনা সীমান্তের উত্তর কোরিয়ার অংশে ঢুকে পড়েন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ কর্মকর্তারা।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী বেসামরিক অঞ্চলের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে জাতিসংঘ কমান্ড। সেখানেই পরিদর্শনে গিয়ে পিয়ংইংয়ের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেন ওই মার্কিন সেনা।
আরও পড়ুন : মার্কিন সাবমেরিন আসতেই দুই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া
জাতিসংঘ কমান্ড বলছে, সম্ভবত ওই সেনা উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে আছেন। তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে উদ্ধৃত করে দেশটির একটি পত্রিকা জানায়, ওই সেনার পরিচয় পাওয়া গেছে। ট্রাভিস কিং নামের ওই মার্কিন সেনা ‘প্রাইভেট সেকেন্ড ক্লাস’ র্যাঙ্কের একজন সেনা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘ইচ্ছে করেই’ ওই সেনা সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। তবে, তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়।
ওই পরিদর্শক দলে ছিলেন এমন একজন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে বলেন, সেখানে যাওয়ার পর তারা আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা শুরু করেন। এমন সময় ওই সেনা উচ্চস্বরে হাসতে হাসতে কয়েকটি ভবনের মাঝ দিয়ে দৌড়ে চলে যান।
সীমানা পেরুনো ওই মার্কিন সেনার সার্বিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলন করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। সেখানে লয়েড অস্টিন বলেন, আমরা অনেক কিছুই জানি না। জানার চেষ্টা চলছে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জ্যাঁ পিয়েরে বলেন, ওই সেনা সম্পর্কে আরও তথ্য জেনে সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন তারা। তিনি বলেন, ‘এখন প্রধান উদ্বেগ তিনি নিরাপদে রয়েছেন কি না।’
তবে সীমান্ত টপকে যাওয়া মার্কিন সেনা সম্পর্কে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এখনো কিছুই জানানো হয়নি। জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়া মিশনে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মন্তব্য করুন