

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল রোববার লেনদেনের বেশিরভাগ সময় শেয়ারদর নিম্নমুখী থাকায় সূচক কমেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে ৫০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, গতকাল লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়ায় সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কিন্তু শেষদিকে এসে দাম কমার তালিকায় যুক্ত হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। দিনশেষে ডিএসইতে ১২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও ২০৭টির কমেছে এবং ৬০টি অপরিবর্তিত ছিল।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ১১৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮২ পয়েন্টে নেমে আসে।
সবকটি সূচক পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের ৪৭৬ কোটি টাকার চেয়ে বেশি।
এদিন লেনদেনে শীর্ষে ছিল মনোস্পুল পেপার, যার লেনদেনের পরিমাণ ৩৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং- লেনদেন ২৭ কোটি ৬৪ লাখ এবং তৃতীয় স্থানে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ-লেনদেন ২০ কোটি ৯৯ লাখ। এ ছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশন, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, রূপালী লাইফ, বিচ হ্যাচারি, সিমটেক্স এবং সোনালী পেপার ছিল টপ-টেন লেনদেনকারীর তালিকায়।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯২টির দাম বেড়েছে, ৬১টির কমেছে এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। বাজারটিতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার চেয়ে বেশি।
মন্তব্য করুন