

গাজা সিটি ও খান ইউনিসে সোমবার (৩ নভেম্বর) আবারও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। অথচ বর্তমানে দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে রয়েছে। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানগুলো আবাসিক এলাকায় গুলি চালিয়েছে। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটগুলো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়েকটি ভবন ধ্বংস করেছে। হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১১ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৬০০ জন আহত হয়েছেন।
এই নতুন হামলার সময় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কাছ থেকে তিন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যুদ্ধবিরতির আগে হামাসের হাতে থাকা ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে ২০ জন জীবিত এবং প্রায় ১৭ জনের মরদেহ এখনও গাজায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিটি ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহের বিনিময়ে ইসরায়েল ১৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দেবে। এখন পর্যন্ত ২২৫টি ফিলিস্তিনি মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৩০টি ৩০ অক্টোবর হস্তান্তর করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ধাপে ধাপে জিম্মি ও বন্দি বিনিময়, সামরিক অভিযান স্থগিত রাখা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের শর্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন