

ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় মোড়ানো ছিল পুরো রাজশাহী শহর। মৌসুমের প্রথম কুয়াশার দেখা মিলেছে এ জেলায়। প্রকৃতিতে বিন্দু বিন্দু শিশির ও হালকা হিমেল হাওয়ায় বার্তা দিয়ে যায়, প্রকৃতিতে শীত এলো বলে। শরৎ শেষে হেমন্ত চলছে। এরপরেই শীতকাল। কিন্তু গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে এখন থেকেই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। সব মিলিয়ে শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ঋতুর প্রথম স্পর্শ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোর থেকেই রাজশাহী শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কুয়াশা। পদ্মার তীর থেকে শহীদ কামারুজ্জামান সড়ক, সিপাইপাড়া, বোয়ালিয়া, লক্ষ্মীপুর, ভদ্রা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা—সবখানেই কুয়াশার সাদা আস্তরণে ঢাকা পড়ে যায় চারদিক। রাস্তায় চলাচল করা যানবাহনগুলোকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়।
কুয়াশার সকাল ঘিরে শহরজুড়ে যেন জমে উঠেছে শীতের আমেজ। নগরীর মোড়ের চা দোকানগুলোতে ভিড় জমেছে চায়ের কাপে উষ্ণতা খুঁজতে আসা মানুষে। কেউ গল্পে মেতে আছেন, কেউ আবার ভাপা পিঠার ধোঁয়ায় মিশে যাচ্ছেন শীতের স্বাদে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত দিনের তুলনায় প্রায় দুই ডিগ্রি কম। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, সকালে জানালা খুলে দেখি চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে গেছে। গাছের পাতায় শিশির আর কুয়াশার মিশ্রণটা দারুণ লাগে। এতদিনের গরম শেষে এ ঠান্ডা হাওয়া সত্যিই প্রশান্তি দিচ্ছে। তাই আজ ভোরেই বেরিয়ে পড়েছি কুয়াশা দেখতে।
ভদ্রা এলাকার দোকান মালিক মুর্দেশ জামান বলেন, ভোর থেকেই চায়ের দোকানগুলো জমজমাট। গরম চা খেতে সবাই আসছে। মনে হচ্ছে, শীত সত্যিই শুরু হয়ে গেছে।
পদ্মা নদীর তীরে সকালে হাঁটতে আসা নারগীস বেগম বলেন, নদীর ওপরে কুয়াশার সাদা পর্দা ঝুলে ছিল অনেকক্ষণ। সূর্য উঠলেও তার আলো ভেদ করে কুয়াশা কেটে যেতে সময় লেগেছে। সেই দৃশ্য সত্যিই মোহনীয়।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তারেক আজিজ বলেন, এটি মৌসুমের প্রথম সকালের কুয়াশা। মূলত মেঘ সরে যাওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন রাজশাহীতে আরও কুয়াশা পড়তে পারে। আজ সকালে কুয়াশার ভিজিবিলিটি ছিল ৪ কিলোমিটার, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন।
মন্তব্য করুন