উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমান সে দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে। এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এ ধরনের গোয়েন্দা বিমান তারা গুলি করে ভূপাতিত করবে। যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করলেও আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়ে উত্তরের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
গতকাল সোমবার কেসিএনএ প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উসকানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের ওপর নজরদারির জন্য যুক্তরাষ্ট্র নজরদারি বিমান ও ড্রোন ব্যবহার করছে। এতে আরও বলা হয়, কোরীয় উপদ্বীপের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়ে ওয়াশিংটন উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে। কোরিয়ার পূর্ব দিকের সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর কৌশলগত নজরদারি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার মতো কোনো শোচনীয় দুর্ঘটনা ঘটবে না—এমন কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।
বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণের সীমান্তে এবং উপকূলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান গুলি করে নামানো বা বাধা দেওয়ার মতো অতীতের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়। উত্তর কোরিয়া প্রায়ই উপদ্বীপের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি বিমান সম্পর্কে অভিযোগ করে এসেছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের দাবি সত্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নজরদারি সরঞ্জামগুলো কোরীয় উপদ্বীপের চারপাশে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
মন্তব্য করুন