প্রদীপ মোহন্ত, বগুড়া
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৯ এএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

খালেদা জিয়ার আসনে ৫০ বছর পর ভাসল নৌকা

বগুড়া-৭
খালেদা জিয়ার আসনে ৫০ বছর পর ভাসল নৌকা

বিএনপির ‘দুর্গ’ বলে পরিচিত বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসন। কারণ, এটি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান। যে কারণে দলটির নেতাকর্মীরা মনে করেন, গাবতলী জিয়া পরিবারের জন্য ‘সংরক্ষিত’ নির্বাচনী এলাকা। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বারবার এ আসন থেকেই নির্বাচন করেছেন। বিএনপিবিহীন এবারের নির্বাচনে এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এর মধ্য দিয়ে ৫০ বছর পর গাবতলী-শাজাহানপুরে পাল তুলে ভাসল নৌকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মোস্তফা আলম নান্নু ৯১ হাজার ২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির এটিএম আমিনুল ইসলাম সরকার পিন্টু। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে ৬ হাজার ৮০১ ভোট পেয়েছেন। বিএনপির দখলে থাকা আসনটিতে পাঁচ দশক পর নৌকার কোনো প্রার্থী জয় পেলেন। এর আগে ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজার রহমান পটল। এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১২ হাজার ২৫৮ জন। এর মধ্যে এবার ভোট পড়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫১টি। বাতিল হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৪টি।

ভোটের ফলে দেখা গেছে, ১৯৯১ সালে এ আসনে প্রথম প্রার্থী হয়ে খালেদা জিয়া পান ৮৩ হাজার ৮৫৪ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিএম মুসা পেস্তা পেয়েছিলেন ২৪ হাজার ৭৬০। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোট পান ১ লাখ ৭ হাজার ৪১৪ এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়ালিউল হক বিলু মাস্টার ২৫ হাজার ২৭৬। ২০০১-এ খালেদা জিয়া পান ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫২২ ভোট, আর আওয়ামী লীগের কামরুন্নাহার পুতুল ৩৫ হাজার ৬২৬ ভোট পেয়েছিলেন। ২০০৮-এর নির্বাচনে খালেদা জিয়ার ধানের শীষ প্রতীকে পড়ে ২ লাখ ৩২ হাজার ৭৬১ ভোট। আর মহাজোটের মুহম্মাদ আলতাফ আলীর লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছিল ৯২ হাজার ৮৩৩ ভোট।

এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় মহাজোট সরকারের শরিক দল জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট আলতাফ আলী নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও এ আসনটিতে আইনি জটিলতায় বিএনপির প্রার্থী শূন্য হয়। তখন স্বতন্ত্র রেজাউল করিম বাবলু বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী—এমন গুজব তুলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

এবারের নির্বাচনে এ আসনে মোট ১৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মোস্তফা আলম নান্নু, জাতীয় পার্টির এটিএম আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডা. মেহেরুল আলম মিশু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির (জেপি) আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের এনামুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফজলুল হক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের রনি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের নজরুল ইসলাম মিলন, চার্জার লাইট প্রতীকের আমজাদ হোসেন, কেটলি প্রতীকের নজরুল ইসলাম, ঈগল প্রতীকের সরকার বাদল ও ট্রাক প্রতীকের রেজাউল করিম বাবলু।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জোড় ইজতেমার আখেরি মোনাজাত মঙ্গলবার

কর্মবিরতির কারণে প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপের ফ্ল্যাট-দোকানসহ সম্পদ ফ্রিজ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাডমিশন ফেয়ার শুরু

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কড়াইলবাসীর পাশে দেশবন্ধু গ্রুপ

বস্তায় ভরে পুকুরে ডুবিয়ে ৮ কুকুর ছানা হত্যা

জোটবদ্ধ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বিধান কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

চলতি মাসে আসছে টানা ৩ দিনের ছুটি

নেতানিয়াহুকে দুঃসংবাদ দিলেন তার সাবেক আইনজীবী

বাংলাদেশে কারাদণ্ডের রায়ে টিউলিপের প্রতিক্রিয়া

১০

যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন আপনার শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে

১১

জামায়াত নেতার বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই

১২

প্রশাসনের ২২ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৩

চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

১৪

নিঃশব্দে থাইরয়েড ক্যানসার বাড়ছে না তো? জানুন ৫ লক্ষণ

১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধ হলে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে : চিফ প্রসিকিউটর

১৬

আমরণ অনশনে বসলেন এনসিপি নেতা জাহাঙ্গীর

১৭

ডা. জাহিদের বক্তব্য ছাড়া খালেদা জিয়ার সংবাদ প্রকাশ না করার আহ্বান

১৮

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা

১৯

ডিজিটাল কমার্স অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেল দারাজ বাংলাদেশ

২০
X