

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভর্তি, সভা-সেমিনার, ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। এতে অচলাবস্থায় পড়েছে দেশের উচ্চ শিক্ষালয়গুলো। যদিও চলমান আন্দোলনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে শিক্ষকদের এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই বলে যেন আন্দোলনে আগুনই ধরিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মন্ত্রীর এ ধরনের কথার পর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই আন্দোলনের কারণে চরম সেশনজটের সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শিক্ষকরা মূলত তিনটি দাবিতে আন্দোলন করছেন। এগুলো হলো সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। দেশের প্রথম সারির সবগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন না করলেও ক্লাস, পরীক্ষাসহ কোনো একাডেমিক বা প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি।
এদিকে, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়েছে কালবেলার। তারা জানিয়েছেন, আন্দোলনের কারণে বন্ধ রয়েছে নিয়মিত ও সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্লাস-পরীক্ষা। একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজও বন্ধ। কবে নাগাদ সবকিছু স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে অনেক শিক্ষার্থী নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছেন। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন, তারাও অলস সময় পার করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন থাকায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ আটকে রয়েছে। লাগাতার ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় তারা সেশনজটেরও আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া সাবেক শিক্ষার্থীরা সনদ, মার্কশিট উত্তোলনসহ বিভিন্ন কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেও প্রশাসনিক ভবন বন্ধ থাকায় তারা ক্ষোভ নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সিদ্দিকী বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা এমনকি দাপ্তরিক কাজগুলোও বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী জরুরি প্রয়োজনে কোনো কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারছে না। যে কারও বিদেশে পড়তে যাওয়ার কিংবা কারও চাকরির মৌখিক পরীক্ষার জন্য কাগজ সত্যায়িতসহ বিভিন্ন প্রয়োজন থাকতে পারে। সেগুলোও হচ্ছে না। সেজন্য সরকারের উচিত, শিক্ষকদের দাবিদাওয়াগুলো মূল্যায়ন করে একটা গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত দেওয়া, যাতে সরকার-বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষার্থী; সবার স্বার্থ রক্ষা হয়।
২০১৮-১৯ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক হলেও তাদের কর্মসূচির কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এমনিতেই করোনা মহামারির কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। তারপর আবার এরকম ক্রমাগত কর্মবিরতি চলতে থাকলে সেশনজটের আশঙ্কা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত একটা সমাধানে আসা জরুরি।
আসিফ হোসেন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, সনদ উত্তোলনের জন্য গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে গিয়েছিলাম। একটা চাকরির মৌখিক পরীক্ষা আছে দুদিন পর। তাই সনদটা খুবই জরুরি। কিন্তু প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে কোনো সেবা পাইনি। সবকিছু বন্ধ রয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন সাকিব বলেন, এমনিতেই বিজ্ঞান বিভাগগুলোতে জট আছে। এর মধ্যে লাগাতার ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে সেশনজট বাড়বে। এর চাপ পড়বে শিক্ষার্থীদের ওপর। শিক্ষকদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে বলি হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিম ইসলাম নিলয় বলেন, শিক্ষকদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে মূলত শিক্ষার্থীরাই ভোগান্তিতে পড়েছে। তাদের ক্লাস, পরীক্ষা হচ্ছে না। অনেকের ফল আটকে গেছে। এ ছাড়া এক ধরনের অনিশ্চয়তাও কাজ করছে।
জানতে চাইলে রাবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক সরকার কালবেলাকে বলেন, সরকারের উচ্চ মহল থেকে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা না হলে বা এর সমাধান না হলে আন্দোলন চলবে। এটি চলমান থাকলে সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব পড়বেই। শিক্ষার্থীদের সাময়িক যে ক্ষতি হচ্ছে, সেটি পুষিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও আমরাই করব।
জানতে চাইলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে কোনো ক্ষতি হলে এর দায় অর্থ মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে জানিয়ে ঢাবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আমাদের দাবি পুরোপুরি না মানলে কর্মবিরতি চলতেই থাকবে। আমি আগেও বলেছি, কর্মবিরতির কারণে সৃষ্ট শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির দায় ঢাবি শিক্ষক সমিতি বা শিক্ষক সমাজ নেবে না। এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা এবং লাখ লাখ শিক্ষার্থীর একাডেমিক জীবন বিপন্ন। শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতি ও ভোগান্তির দায় অবশ্যই অর্থ মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে।
এদিকে, গতকাল ‘প্রত্যয় সম্পর্কে কিছু বিষয়ে অধিকতর স্পষ্টীকরণ’ শীর্ষক এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন পাওয়ার কথা আছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেহেতু ৬৫ বছর থেকে অবসরে যান, তাই প্রত্যয় কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর তারা ৬৫ বছর থেকেই আজীবন পেনশন পাবেন। এ জন্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট পদ্ধতির পেনশন ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বাড়ছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই ব্যবস্থা নয়। অন্যদিকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থায় কর্মীদের চাঁদা এবং বিনিয়োগের মুনাফার ভিত্তিতে একটি তহবিল গঠিত হবে। তাই এটি হবে টেকসই পেনশন ব্যবস্থা। নতুন পেনশন ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনা সম্ভব হবে।
একই দিন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াংমিং ইয়ংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক। আমি এই আন্দোলনের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।
জানতে চাইলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, তারা (পেনশন কর্তৃপক্ষ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেশকিছু বিষয় স্পষ্ট করেছেন। তবে ম্যাথমেটিক্যাল গোলকধাঁধার মতো কিছু শুভংকরের ফাঁকিও রয়েছে। ইচ্ছা করেই সে ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালকে ধরে এই স্কিম সাজানো হয়েছে। এখন যেসব নবীন শিক্ষক এই স্কিমে ঢুকবেন, তারা ২০৫৪ সালে গিয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন; কিন্তু যারা এখন অবসরে যাবেন, তাদের গ্র্যাচুইটি দেওয়া না হলে ইনক্রিমেন্ট বাদে ৭০ হাজার ২০০ টাকা করে পাবেন। আর গ্র্যাচুইটি দেওয়া হলে এখনই ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা পাবেন। আর ২০৫৪ সালে গিয়ে পেনশন হবে ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, এখানে বিষয়টি আর্থিক। আবার এখন ১ লাখ টাকায় যা পাওয়া যায়, ৩০ বছর পরে কি সেই টাকা দিয়ে একই জিনিস পাওয়া যাবে না। সুতরাং এ হিসাবটা অন্যায়। এটা প্রতারণার শামিল। এসব ফাঁকিবাজি না করে তাদের পাবলিক ডিবেটে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান কালবেলাকে বলেন, আপাতত আমরা একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্পষ্ট করেছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. হাসিনা খান বলেন, এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বিনষ্ট হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষার্থীরা। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষকরাও তা চান না বলে আমার বিশ্বাস। তবে এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে আমাদের তেমন কোনো নির্দেশনা নেই। আমরা চাচ্ছি দুই পক্ষকে এক জায়গায় এনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান হওয়া উচিত।
দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতিতে স্থবির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো:
জানা গেছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন
কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। দেশের প্রথম সারির সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন না করা হলেও ক্লাস, পরীক্ষাসহ কোনো একাডেমিক বা প্রশাসনিক কার্যক্রমই পরিচালিত হয়নি।
কলা ভবনের মূল ফটকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যসহ অন্য শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত হওয়া বিবৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, গাজীপুরে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, প্রশাসনিক ভবনের সামনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন করিডোরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষকরা, একাডেমিক ভবনের সামনে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
এদিকে, ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।