কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩০ এএম
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সাংবাদিকদের আইন উপদেষ্টা

ছাত্র-জনতার ক্ষোভ নিষ্পত্তির পথ খুলল

ছাত্র-জনতার ক্ষোভ নিষ্পত্তির পথ খুলল

বর্তমান সময়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, হাইকোর্টে কিছু বিচারক আছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তারা জুলাই গণবিপ্লবে যে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি ছিল, সেই শক্তির নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়েছিলেন। কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে, পত্র-পত্রিকায় রিপোর্টও ছাপা হয়েছে। এ জন্য ছাত্র-জনতার অনেকের ক্ষোভ রয়েছে, এখন এ সব ক্ষোভ সাংবিধানিকভাবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার পথ খুলে গেছে। কাউন্সিল পুনরুজ্জীবনের মধ্য দিয়ে বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার একটি ফোরাম পেয়েছে ছাত্র-জনতা। গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহালের বিষয়টি ইতিবাচক বলে মন্তব্য করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রিভিউ মামলায় নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরায় কার্যকর হয়েছে। এটা নিয়ে কিছুটা কনফিউশন ছিল। আদালতের রায়ের কারণে এই কনফিউশন দূর হয়েছে। কাউন্সিল এখন পুরোপুরি অপারেশনাল করা যাবে।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘বর্তমানে উচ্চ আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন। উচ্চ আদালত তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন। সরকার এখন মনে করে যে ছাত্র-জনতা তাদের অভিযোগ উপস্থাপনের জন্য একটা উপযুক্ত ফোরাম পেয়েছে।’

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংবিধান অনুযায়ী গঠন করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, এটা হচ্ছে প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের সিনিয়র যে দুজন বিচারক আছেন, তাদের নিয়ে এ কাউন্সিল গঠিত হয়। কেউ যদি আজই সেখানে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে সেটির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যখন ছিল না, তখন উচ্চ আদালতের বিচারকদের জবাবদিহির ফোরামটা ছিল না। আরেকটা হচ্ছে এই জবাবদিহির ইচ্ছাও উচ্চ আদালতের প্রশাসনের মধ্যে ছিল না। ওনাদের ফরমায়েশি রায় হচ্ছিল।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, আপনারা জানেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কী রকম রায় হয়েছে। তারেক রহমানকে বাংলাদেশে কথাই বলতে দেওয়া হয়নি। বাগস্বাধীনতা রুদ্ধ করার মতো এমন রায়ও হয়েছে। এ ছাড়া বহু মানুষ তাদের মানবাধিকার রক্ষা করার সুযোগ পাননি। বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যারা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন, আদালতের জবাবদিহি নিশ্চিত করার সদিচ্ছা তাদের আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। এবার সেটা বাস্তবায়ন করার ফোরামও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্বকাপ ড্র ফরম্যাটে বড় পরিবর্তন আনল ফিফা

গোলাম রাব্বানীর দুই পদ বাতিল করল ঢাবি

সাভারে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সার

দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে অটোর ধাক্কা, স্কুলশিক্ষক নিহত

প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা 

ইসলামেই আসবে সত্যিকারের মুক্তি : চরমোনাই পীর

হাসিনার লকারে শুধু পাটের ব্যাগ, যৌথ লকারে সোনার নৌকা-গয়না

রাজশাহীতে আর কোনো পুকুর ভরাট হবে না : বিভাগীয় কমিশনার

বিপিএলে নোয়াখালীর প্রধান কোচ হচ্ছেন সুজন

১০

ব্যালটে যেমন দেখা যাবে এনসিপির শাপলা কলি প্রতীক

১১

বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর ইন্টেরিয়র ডিজাইন ২০২৫ উদযাপন

১২

এনসিপি জোটের ঘোষণা আসতে পারে আগামীকাল

১৩

মিঠুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৪

এরদোয়ানকে নিয়ে মন্তব্য করায় সাংবাদিকের ৪ বছর কারাদণ্ড

১৫

এবার মালয়েশিয়ার কাছে হারল বাংলাদেশ

১৬

পুলিশ বক্সে আশ্রয় নিয়েও বাঁচতে পারলেন না যুবদল কর্মী

১৭

অনলাইন শপিং ও গেমিংয়ে সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে : ক্যাসপারস্কি

১৮

বাউবির ITVET-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হলেন ড. শামীম

১৯

সাবেক সচিব লতিফুল বারির মৃত্যু

২০
X