ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় পর সারা দেশে এক ভিন্ন পরিবেশে গতকাল সোমবার নতুনভাবে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন করল দেশবাসী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশবাসীর এটাই প্রথম বিজয় দিবস। এদিন প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। শীত উপেক্ষা করে সর্বস্তরের মানুষ ভোর থেকেই সাভারে স্মৃতিসৌধের বাইরে ও আশপাশের মহাসড়ক এলাকায় সমবেত হতে থাকেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তাকে সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
প্রধান উপদেষ্টা এবং পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীকের নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা জানানো হয় বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে। ভিআইপিদের শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য; পতাকা আর ফুল হাতে জনতার ঢল নামে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে। ফুলে ফুলে ভরে উঠতে থাকে শহীদ বেদি। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষ তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন গণমাধ্যমের কাছে।
আইএসপিআর জানায়, মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহান বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। ঢাকার পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় (তেজগাঁও) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের ছয়টি গান ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি গান স্যালুট প্রদর্শন করে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলোয় ছিল রং-বেরঙের আলোকসজ্জা। আলোচনা সভা এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা পৃথক বাণী দিয়েছেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে দেশবাসী গতকাল নতুন করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করল। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে। শোক আর রক্তের ঋণ শোধ করার গর্ব নিয়ে উজ্জীবিত জাতি দিবসটি উদযাপন করে অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে। শীত উপেক্ষা করে ভোরের সূর্য ওঠার আগেই হাতে ফুল, মাথায় বিজয় দিবস লেখা ব্যান্ড, জাতীয় পতাকা নিয়ে স্মৃতিসৌধে নেমেছিল জনতার ঢল। বিনম্র চিত্তে সমগ্র জাতি ত্রিশ লাখ শহীদকে আরও একবার জানিয়ে দিল—‘আমরা তোমাদের ভুলব না’।
ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ার প্রত্যয়: ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে শেখ হাসিনা ঢাকার রাজপথে জনবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে উৎখাত হন। ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য তার সরকার ক্ষুব্ধ জনতার রাজনৈতিক রোষানলের মুখে পড়লে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এ বছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশের নবযাত্রায় জাতি নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে বিজয় দিবস পালন করল। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর দেশবাসী এ সময়কে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলেও অভিহিত করছেন। স্বৈরশাসককে ক্ষমতাচ্যুত করতে গিয়ে শত শত ছাত্র-জনতা শাহাদাতবরণ করেছেন, সাত শতাধিক মানুষ চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, অনেকে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুইয়েছেন, কমপক্ষে ২৪ হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, বিপুলসংখ্যক মানুষকে জোরপূর্বক গুমের শিকার হতে হয়েছে, অনেক আহত মানুষ এখনো হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এবং অনেকে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কালাতিপাত করছেন।
এদিকে গতকাল সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পুরান ঢাকার জনসন রোডে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিজয়মেলা হয়। এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকাসহ সব জেলা-উপজেলায় হলো এই মেলা। এতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিজয়মেলায় উপস্থিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের ভাবনা তুলে ধরেন। মুক্তিযোদ্ধা লুৎফা হাসীন রোজী যুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতিচারণা করে বলেন, দেশটা স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়নি। মানুষ ৫৩ বছরে কোনো না কোনোভাবে শোষণের শিকার হয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠেনি। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি। দেশ গড়তে নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব এখন। তাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারাও থাকবেন। ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হঠাতে এবং এরপর এ বছর শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের কবল থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে যেসব শহীদ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জাতি তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে নতুন করে শপথ গ্রহণ করেছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনামুক্ত নতুন বাংলাদেশে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়তে চাই।
বায়তুল মোকাররমে দোয়া মাহফিল: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার সকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কোরআনখানি ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল জানানো হয়, দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মো. মুহিবুল্লাহিল বাকী। এ সময় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, মো. মহিউদ্দিন, ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ, উপপরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গভবনে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনের সবুজ লনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তা যোগ দেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলসহ বাংলাদেশে আসেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা, রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনারসহ কয়েক হাজার অতিথি এদিন বিকেল ৩টা ২৮ মিনিট থেকে ৪টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের পরিবার, মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতীয় যোদ্ধা এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও উৎসবে যোগ দেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তাকে নিয়ে এ উপলক্ষে ভিভিআইপি এনক্লোজারে একটি কেক কাটেন। পরে রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি, ছাত্র প্রতিনিধি ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের শ্রদ্ধাঞ্জলি: গতকাল জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। এরপর মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, সাইফুল হকের নেতৃত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর নেতৃত্বে আইইবি, ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ), ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং পেশাজীবী সংগঠন।
বিভিন্ন দল ও সংগঠনের র্যালি: এদিকে গতকাল সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে বিজয় র্যালি ও সমাবেশ করেছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী। মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশ নেন কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আরিফুল ইসলাম, ডা. মুহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল পল্টনের মজলিস মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও আবুল হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জলিল।