ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, উন্নয়ন-সমৃদ্ধিতে ভারত সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে আছে। সাম্প্রদায়িকতা, সস্ত্রাস, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধেও বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। একই সঙ্গে যে কোনো সহিংসতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করবে দুইদেশ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। সেই চেতনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভারত পাশে আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং যোগাযোগ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায় ভারত।
আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইচ্ছা করলেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করা যাবে না। কারণ, দেশটির সঙ্গে আমাদের রক্তের বন্ধন রয়েছে। ভারতের সহযোগিতা ছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব ছিল না। দুদেশের মধ্যে যে সম্পর্ক, তা বর্তমান সরকারের সময়ে আরও দৃঢ় হচ্ছে। ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধে রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। এক কোটি মানুষকে থাকতে দিয়েছে। খাবার প্রদান, যুদ্ধের প্রশিক্ষণ-অস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত ও বাসন্তী চাকমা। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম। সঞ্চালনা করেন সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হক।
মন্তব্য করুন