সারা দেশে সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নিয়মিত পাঠদান। নিশ্চিত করা যাচ্ছে না মানসম্মত শিক্ষা। প্রতিবছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও তার বিপরীতে শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না করায় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া অন্য ক্যাডারগুলোতে নিয়মিত পদোন্নতি হলেও সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে দীর্ঘদিন ধরে তা বন্ধ রয়েছে। এ নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪৪ হাজার। এর বিপরীতে শিক্ষক মাত্র ২০১ জন। স্বনামধন্য এ কলেজের কয়েকটি বিভাগের অবস্থা আরও করুণ। আইসিটি বিষয়ে ১ হাজার ৯১৩ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক মাত্র একজন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ১:৫৭১, ইংরেজিতে ১:৪৪৩, সমাজবিজ্ঞানে ১:৩১৮, ইতিহাসে ১:২৮৮ ও উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১:২৮৩। ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা এবং মার্কেটিং এ দুই বিভাগে ৬০০ শিক্ষার্থী পড়লেও তাদের জন্য আলাদা করে শিক্ষক পদ সৃজন হয়নি। অন্য বিভাগের শিক্ষকরা এখানে ক্লাস নিচ্ছেন।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ কালবেলাকে বলেন, ‘শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদানের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
শুধু ঢাকা কলেজ নয়, দেশের প্রায় সব সরকারি কলেজেই শিক্ষক সংকট এখন চরমে। বিশেষ করে ইংরেজি, বাংলা, আইসিটি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অবস্থা খুবই খারাপ। আইসিটিতে প্রভাষক ছাড়া সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদ নেই। আবার ফিন্যান্স, মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ে পদ সৃষ্টি করা হয়নি। আগের স্টাফিং প্যাটার্ন বিদ্যমান থাকায় শিক্ষকের পদ না বাড়লেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। সংকট কাটাতে কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কিছু সময়ের জন্য শিক্ষক সংযুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু সেটি যথেষ্ট নয়। এ ছাড়া পদ না থাকায় অনেক বিষয়ের পাঠদান করাতে হচ্ছে অন্য বিভাগের শিক্ষকদের। শিক্ষকের পদ সৃজন না হওয়ায় জোড়াতালি দিয়ে চলছে সরকারি কলেজগুলো।
ফেনী সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডিগ্রি মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থী প্রায় ২২ হাজার। কিন্তু অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ শিক্ষক পদ রয়েছে মাত্র ৮৯টি। শূন্যপদ বাদ দিলে কর্মরত স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন ৭১ জন। অর্থাৎ তিনশরও বেশি শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক মাত্র একজন। কলেজের কিছু বিভাগের অবস্থা আরও করুণ। ইংরেজি শিক্ষকের চারটি পদের মধ্যে আছেন তিনজন। মেজর ও নন-মেজর হিসেবে সব স্তরেই ইংরেজি পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। সে হিসেবে এ বিষয়ে একজন শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী ৭ হাজারের বেশি। অন্যদিকে, কলেজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়টি পড়ছেন বিভিন্ন স্তরের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু আইসিটির শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না হওয়ায় একজন সংযুক্ত ও অভ্যন্তরীণ তিনজন দিয়ে কোনোরকম টেনেটুনে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অর্থনীতিতে ১১ হাজার শিক্ষার্থী পড়লেও শিক্ষক পদ মাত্র ছয়টি। ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ে ২ হাজার করে শিক্ষার্থী থাকলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষকের কোনো পদ সৃষ্টি হয়নি। শিক্ষক না থাকায় গত বছর পরিসংখ্যান বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞান শাখার বিষয়গুলোর জন্য ডেমোনেস্ট্রেটর বাধ্যতামূলক হলেও সেই পদে কেউ নেই। যে কারণে ল্যাবও পরিচালনা করতে হচ্ছে শিক্ষকদের।
ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন বলেন, সব বিভাগেই শিক্ষক সংকট রয়েছে। কলেজের পাঠদান চালিয়ে নিতে শিক্ষকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ১৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৭৫ জন।
নোয়াখালী সরকারি কলেজে ১৯ হাজার ৯৭৯ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক ৯৮ জন। এই কলেজে আইসিটির ২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক মাত্র একজন। ইংরেজির ৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক ছয়জন। এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বাংলায় ১:৬৬০, সমাজবিজ্ঞানে ১:১০৪৩ ও ব্যবস্থাপনায় ১:৬১৪।
একই জেলার চাটখিল পাঁচগাঁও মাহবুব সরকারি কলেজে ইংরেজির ২ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী ও আইসিটির ২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন একজন করে। পৌরনীতি ও সুশাসন এবং অর্থনীতিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:১১৬৬।
কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের গণিতের কোনো শিক্ষক নেই। অন্য বিভাগগুলোতেও শিক্ষক সংকট চরমে। এ কারণে খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে কোনোরকম চালিয়ে নিচ্ছি।’
শিক্ষাবিদরা বলছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত হওয়ার কথা ১:৩০। কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। আবার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৪) অনুযায়ী গুণগত শিক্ষাও নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের মতে, শিক্ষকদের অসন্তুষ্ট রেখে দেশের ২০৩০ ও ২০৪১ সালের ভিশনও পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই নতুন পদ সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পদোন্নতি চালু করা জরুরি।
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত যেমন থাকার কথা সরকারি কলেজগুলোতে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তাই খালি পদ পূরণের পাশাপাশি নতুন পদও সৃজন করতে হবে।’
বিভাগ ও জেলা সদরের ৭১টি প্রধান কলেজের (বেশিরভাগই মাস্টার্স কলেজ) শূন্যপদ ও পদ সৃজন নিয়ে করা শিক্ষা ক্যাডারদের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, এসব কলেজে শিক্ষার্থী ১০ লাখ ৯১ হাজারের মতো। শিক্ষক রয়েছেন ৬ হাজার ৯৭২ জন। এসব কলেজে ১:৩০ অনুপাতে শিক্ষক ঘাটতি রয়েছে ২৯ হাজার ৬৯১ জনের।
খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি কলেজে ইংরেজি বিভাগে দেড় হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একজন এবং চট্টগ্রামের স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগে ৪ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন। সিলেটের জকিগঞ্জ সরকারি কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বাংলায় ১:১০৪৬, ইংরেজিতে ১:১০৪৬ ও অর্থনীতিতে ১:৮৪০। এ কলেজের আইসিটিতে ৭৮৭ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও এখন কোনো শিক্ষক নেই।
বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজে সহকারী অধ্যাপকের তিনটি পদের মধ্যে একটি আর প্রভাষকের ৩৩টি পদের মধ্যে ১৯টি শূন্য রয়েছে। এ কলেজে সহযোগী অধ্যাপকের ৯টি পদের চারটি, সহকারী অধ্যাপকের ১৪টি পদের ছয়টি এবং প্রভাষকের ২৪টি পদের ১৬টি শূন্য রয়েছে। ভোলার সরকারি শাহজাদপুর কলেজে সহকারী অধ্যাপকের ১১টি পদের সবই এখন শূন্য। আর প্রভাষকের ১৯টি পদের ছয়টি শূন্য রয়েছে। ফেনী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহকারী অধ্যাপকের ১৩টি পদের সাতটি আর প্রভাষকের ১৪টি পদের ১০টি শূন্য রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে একযুগ ধরে নতুন পদ সৃষ্টি বন্ধ রয়েছে। ১৯৮৪ সালের এনাম কমিটি ও ১৯৮৭ সালের সমীক্ষা কমিটির স্ট্যাফিং প্যাটার্ন থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন নেই। এখন ইউনিফরম প্যাটার্ন না থাকায় কলেজগুলো জাতীয়করণের সময় যত পদ অনুমোদন পেয়েছিল, সেগুলো নিয়েই চলছে। কোনো পদ খালি থাকলে অল্প কিছু নিয়োগ হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে সর্বশেষ ২০২১ সালের জুনে সহকারী থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে আর ডিসেম্বরে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারে বছরে দুটি পদোন্নতি দেওয়ার নজির থাকলেও পদ-স্বল্পতার কারণে শিক্ষা ক্যাডারে তা বন্ধ রয়েছে। পদোন্নতি পাওয়ার কষ্ট নিয়ে এরই মধ্যে অনেক শিক্ষা ক্যাডার অবসরে গেছেন। বর্তমানে বিসিএস ১৬ থেকে ৩৫তম ব্যাচ পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি শিক্ষা ক্যাডার পদোন্নতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘এখন কারিকুলামে পরিবর্তন এসেছে। বিষয়ভিত্তিক কোর্সও সম্প্রসারিত হয়েছে। পুরোনোগুলোর পাশাপাশি নতুন সরকারিকৃত কলেজেও শিক্ষক সংকট রয়েছে। কিন্তু পদ সৃজন না হওয়ায় মানসম্মত শিক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পদোন্নতিও হচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মানের যে চ্যালেঞ্জ, তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদ রয়েছে ১৫ হাজার ৯৫০টি। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার পদ শূন্য রয়েছে। প্রতিবছর ১০০ থেকে ১৫০ জন শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় এ সংখ্যা আরও বাড়ছে। ২০১৪ সালে সমন্বিত পদ সৃজনের উদ্যোগ নিয়ে ২০১৬ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। গত বছরের আগস্টে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেই প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়ে কলেজভিত্তিক শূন্যপদের আলাদা আলাদা তথ্য পাঠাতে বলে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্যা কালবেলাকে বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মানসম্মত অনুপাত হচ্ছে ১:৪০। উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে টারশিয়ারি পর্যন্ত আমাদের শিক্ষার্থী রয়েছে ৬০ লাখ। এ অনুপাতে শিক্ষক প্রয়োজন ১ লাখ ২৫ হাজার।’
সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তানভীর হাসান বলেন, ‘জাতীয়করণ হওয়া কলেজ শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মচারী আত্মীকরণ বিধিমালা-২০০০ অনুযায়ী জাতীয়করণ হওয়ার পর সব পদ হয়েছে প্রভাষকের। অনুপাত অনুযায়ী উপরের দিকে পদ সৃষ্টি হয়নি। এ কারণে শিক্ষকদের পদোন্নতি হচ্ছে না।’
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, এনাম কমিশনের প্যাটার্ন অনুযায়ী পদ সৃষ্টি হচ্ছে না। আবার সরকার অনুমোদিত সমীক্ষা কমিটির প্যাটার্নও মানা হচ্ছে না। সমন্বিত পদ সৃজনের জন্য ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের নামে তিন বছর সময় নষ্ট করা হয়েছে। এরপর সাড়ে ১২ হাজার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসনে দেওয়া হয়। এখনো সে বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। এটা শিক্ষার বিরুদ্ধে একটি সুকৌশল ষড়যন্ত্র। এমন চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ কীভাবে সম্ভব—প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘এটি সত্যি যে, সরকারি কলেজগুলো শিক্ষক সংকট মারাত্মক। কিন্তু একসঙ্গে সাড়ে ১২ হাজার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেওয়া ঠিক হয়নি। তাই আমরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা আলাদা করে তথ্য নিচ্ছি।’ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের নম্বরে গত দুদিন একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।