রাজকুমার নন্দী
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৩ এএম
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নতুন চাপে বিএনপি

একদফার আন্দোলন
নতুন চাপে বিএনপি

দেড় মাস ধরে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিতে থাকলেও একদফা দাবি আদায়ে আশাবাদী হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি বিএনপি। ‘ঝটিকা’ কৌশলে সীমিত সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে কর্মসূচি পালন করায় রাজধানী ঢাকায় আন্দোলন জমাতে পারছে না দলটি। আবার বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতাও আগের মতো দৃশ্যমান নেই। এসব কারণে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীর মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে একদফার আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই মুহূর্তে বিএনপি নতুন করে চাপে পড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে গত ১২ জুলাই থেকে মিত্রদের নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে আছে বিএনপি। সর্বশেষ প্রায় দেড় মাস ধরে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করছে দলটি। কিন্তু ‘ঝটিকা কৌশলে’ অল্পসংখ্যক নেতাকর্মীর সমন্বয়ে কর্মসূচি পালিত হওয়ায় ঢাকায় আন্দোলন জমে ওঠেনি। এতে করে তৃণমূলে হতাশা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের অনেকের ধারণা ছিল, ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রশ্নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ও প্রশাসনের কোনো কোনো কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে—এমনটা আশা করেছিলেন অনেকে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও কিছু দিন ধরে এমন নানা গুঞ্জন ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেমন পদক্ষেপ নিলে সরকার ও সরকারি দল চাপের মধ্যে পড়বে বলে আশা ছিল বিএনপির। সেই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে ‘ঝিমিয়ে পড়া’ আন্দোলন বেগবান করার চিন্তা ছিল তাদের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, মানবাধিকার দিবস পেরিয়ে গেলেও মার্কিনিদের নির্লিপ্ত থাকায় সরকার ও সরকারি দল আওয়ামী লীগ এখন অনেকটাই নির্ভার। ফুরফুরে মেজাজে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশ হতাশ। বিশেষ করে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেতাকর্মীদের মনোবলে এক ধরনের চিড় ধরেছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। এতে করে আন্দোলন সফল হওয়া নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমন বাস্তবতায় নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রেখে আন্দোলনকে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছানো বিএনপির জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অনেকে।

অবশ্য বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ইস্যুতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে তারা আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন। পশ্চিমা বিশ্বের ওপর এই আন্দোলন নির্ভর করছে না। এটা ঠিক, বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকা তাদের জন্য সহায়ক। কিন্তু এটাই একমাত্র সমাধান নয়। চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তারা জনদাবি পূরণ করতে চান।

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু কালবেলাকে বলেন, ‘এই সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ফের ক্ষমতায় থাকতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মী, জনগণের ওপর স্টিমরোলার চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিলে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় থাকে না। যেহেতু আমরা গণতান্ত্রিক দল, আমরা তো সশস্ত্র যুদ্ধ করতে পারি না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটু স্পেস পেলেই নেতাকর্মীরা রাজপথে জমায়েত হচ্ছেন, যেটা সর্বশেষ মানববন্ধনের কর্মসূচিতে দেখা গেছে। নিমিষেই সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার,

মামলা-হামলা, অত্যাচার-নির্যাতন করা হচ্ছে। এমন অবস্থার মধ্যেও হরতাল-অবরোধ চলাকালে সারা দিনই নেতাকর্মীরা কোথাও না কোথাও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করেন। আশা করি, নেতাকর্মীদের আরও অংশগ্রহণে আগামীতে আন্দোলন আরও জোরদার হবে এবং একটা পর্যায়ে সফলতার বন্দরে পৌঁছবে।’

এদিকে গুঞ্জন থাকা সত্ত্বেও মানবাধিকার দিবস ঘিরে কোনো পদক্ষেপ না এলেও গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইস্যুতে যে কোনো সময় পশ্চিমা বিশ্বের চাপ আরও বাড়তে পারে বলে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী কালবেলাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন ছিল—বাংলাদেশে আগামীতে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পুলিশ ও প্রশাসনের অনেকের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। তবে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই খুশি হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা এতে হতাশ হয়েছেন। তবে রাজনীতিতে এমন

আলোচনা-গুঞ্জনও আছে, যে কোনো সময় পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। কিন্তু আমরা চাই না, দেশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ুক।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন, এটি অপরিহার্য। আর আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সেটা হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।’

বিএনপির সিনিয়রসহ বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেছেন, তাদের ধারণা, বাংলাদেশে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি থেকে পশ্চিমা বিশ্ব সরেনি। সুতরাং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আগে কিংবা নির্বাচনের পর পরিস্থিতি দেখেও মার্কিন পদক্ষেপ আসতে পারে। বিএনপি ও যুগপতের শরিকদের মতে, আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে সরকার নির্বাচন করে ফেললেও নির্বাচন-উত্তর পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হবে। দেশ তখন অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়তে পারে। একতরফা নির্বাচনের ফলে এমনটা হতে পারে।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের অনত্যম মিত্র গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি কালবেলাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্ব এক বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে একটি অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দাবি করে আসছে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে তারা কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। সামনে আরও কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না, সেটা তারাই জানেন। তবে আমরা আমাদের দেশকে কোনো কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে দেখতে চাই না। সে কারণে আমরা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সাধ্যমতো লড়াই-সংগ্রাম করছি। তবে সরকার রাজনৈতিক দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে ফের একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা সংকটকে সমাধান তো করবেই না, বরং দেশকে নানা ধরনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। ফলে চলমান আন্দোলনে আমাদের বিজয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।’

ফের অবরোধে বিএনপি: একদফার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় একাদশ দফায় দেশব্যাপী বিএনপির ৩৬ ঘণ্টা অবরোধ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে। যুগপৎভাবে অবরোধের এই কর্মসূচি পালিত হবে।

জানা গেছে, দেশ নির্বাচনী গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলায় একাদশ দফার এই অবরোধ কর্মসূচি শক্তভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ৭ জানুয়ারির ভোট ঠেকানোই এখন দলটির মূল লক্ষ্য।

টানা এক মাসের বেশি সময়

হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ঘিরে গত রোববার ঢাকাসহ সারা দেশে রাজপথে মানববন্ধনের মতো প্রকাশ্য কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। দলটির দাবি, দীর্ঘ ৪৩ দিন পর প্রকাশ্য এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজপথে নেতাকর্মীদের জমায়েত করেছে তারা। হবিগঞ্জ ছাড়া সারা দেশে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ঢাকায় কর্মসূচিতে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ এবং কর্মী-সমর্থক বেশি হলেও আত্মগোপনে থাকা দলের নেতারা অংশ নেন, যদিও তাদের সংখ্যা ছিল সীমিত। এমন প্রেক্ষাপটে ৩৬ ঘণ্টার এই অবরোধের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা এবার অধিক সংখ্যায় মাঠে নামবেন বলে প্রত্যাশা বিএনপির। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার জেরে দলের শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ নেতারা গ্রেপ্তার এবং গ্রেপ্তার এড়াতে অন্যরা আত্মগোপনে থাকায় নেতাকর্মীরা এতদিন বিক্ষিপ্তভাবে ঝটিকা মিছিলের মধ্য দিয়ে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি পালন করে এসেছেন। এর আগে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং তপশিল বাতিলের দাবিতে দশম দফায় ২১ দিন অবরোধ এবং তিন দফায় ৪ দিন হরতাল করেছে বিএনপি।

দুই বাসে আগুন: অবরোধের আগের রাতে রাজধানীতে দুই বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে টিকাটুলী এলাকায় রাজধানী সুপার মার্কেটের সামনে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের একটি স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার জানান, খবর পেয়ে তাদের দুটি ইউনিট আগুন নেভায়। এর আগেই বাসটি পুড়ে যায়। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মতিঝিলে শিল্প ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে। মতিঝিল থানা পুলিশ জানিয়েছে, শিল্প ব্যাংকের একটি স্টাফ বাস বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে দাঁড়ানো ছিল। সেখানে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে বাসের সিট পুড়েছে। কারা আগুন দিয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশ কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পৌরসভার ফাইল নিয়ে দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি

কর্মস্থলে ‘অনুপস্থিত’, এবার পুলিশের ২ এসপি বরখাস্ত

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ

পিয়াইন নদীতে অবাধে বালু লুট, হুমকিতে বসতবাড়ি 

সোনালী ও জনতা ব্যাংকের অফিসার পদের ফল প্রকাশ

নরসিংদীতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন কৌশলে অর্থ চুরি, যেভাবে নিরাপদ থাকবেন

টিটিইসহ ৫ জন আসামি / তিন মাসেও শেষ হয়নি ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার তদন্ত

১০

স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু

১১

রওনা দিয়েছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, পাল্টা প্রস্তুতি ভেনেজুয়েলার

১২

দেশে হবে আরও ৫১৬ কমিউনিটি ক্লিনিক

১৩

ফেসবুকে আমেরিকার বিরুদ্ধে কিছু বললেই পাবেন না ভিসা

১৪

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে হতাহত পরিবারের পাশে তারেক রহমান

১৫

আশুলিয়ায় বিপুল অবৈধ সিগারেটসহ আটক ২

১৬

স্কুলছাত্র রনি হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১৭

সরকারি অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে সহযোগিতা করা হবে : মাহফুজ

১৮

শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালকের পদায়ন স্থগিতের দাবি

১৯

সিলেটে পাথর লুটে ১৩৭ নাম

২০
X