এ জেড ভূঁইয়া আনাস
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৫ এএম
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জনতা ব্যাংকের বড় জালিয়াতির প্রমাণ

বৈদেশিক বাণিজ্য
জনতা ব্যাংকের লোগো।
জনতা ব্যাংকের লোগো।

বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রমে নানামুখী অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ রপ্তানি সুবিধা দেওয়ায় আটকে গেছে ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ। রিজার্ভের অর্থে গঠিত রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণ বিতরণেও করা হয়েছে নয়ছয়। এ ছাড়া খেলাপি প্রতিষ্ঠানকে এলসি সুবিধা দেওয়া, ভুয়া রপ্তানি বিল ক্রয়ে অর্থ প্রদান, একাধিকবার রপ্তানিতে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে এলসি সুবিধা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে পুনঃতপশিল এবং এক ঋণের অর্থে অন্য ঋণের দায় পরিশোধের মতো ঘটনা যেন এ ব্যাংকে নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) আওতাধীন বাণিজ্যিক হিসাব অধিদপ্তরের এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে জনতা ব্যাংকে বড় ধরনের ঋণ জালিয়াতি চিহ্নিত হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ছয় বছরের বৈদেশিক বাণিজ্যের ওপর পরিচালিত ওই নিরীক্ষায় ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানিতে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে ব্যাংকের ১০ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা ফেরত দেয়নি এসব প্রতিষ্ঠান। এই টাকা উদ্ধারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঠিক তদারকির অভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি। এতে হুমকির মুখে পড়েছে গ্রাহকের আমানত। দিন দিন গাণিতিক হারে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার টাকা, যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।

ঋণ জালিয়াতি ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ঋণ ও খেলাপির তথ্য গোপন করার অভিযোগও রয়েছে জনতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, রিজার্ভের অর্থে গঠিত রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে জনতা ব্যাংক যেসব ঋণ বিতরণ করেছে তার মধ্যে বড় একটি অংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া দেশের একটি বড় গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া ইডিএফের ঋণের বেশিরভাগই অনাদায়ী। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমা অতিক্রম করে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া হয়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে এলে জনতা ব্যাংকের ইডিএফের ঋণ বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে ব্যাংকটি ইডিএফের ঋণ বিতরণ করতে পারছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, ‘বিতরণ করা ঋণের একটি বড় অংশ খেলাপি হয়ে পড়ায় জনতা ব্যাংককে ইডিএফ ঋণ বিতরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর ইডিএফের ঋণখেলাপি হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে কোনো প্রভাব পড়ে না। কারণ নির্ধারিত সময় শেষে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই ডলার কেটে নেয়।’

২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ঋণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের ওপর পরিচালিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায়, একাধিক রপ্তানি ব্যর্থতার পরও মেসার্স বিআর স্পিনিং মিলসের বিপরীতে নতুন নতুন এলসি খুলেছে জনতা ব্যাংক। এসব এলসি ও আগের ঋণ মঞ্জুরির শর্ত অনুযায়ী পরিশোধও করা হয়নি। এতে জনতা ব্যাংকের কাছে প্রতিষ্ঠানটির দায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০৬ কোটি টাকার বেশি।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ ও ২০১৩ সালে ১২০ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করলেও রপ্তানি করেছে মাত্র ১৬ কোটি টাকার পণ্য। এর মধ্যে ২০১১ সালে আমদানির বিপরীতে কোনো রপ্তানিই করেনি। তবুও ২০১৪ সালে ১০৩ কোটি টাকার পণ্য আমদানির সুযোগ দেয় জনতা ব্যাংক, যার বিপরীতে রপ্তানি করেছে মাত্র ৪ কোটি টাকার পণ্য। ২০১৫ সালে নতুন এলসির মাধ্যমে ১৭৬ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করে মাত্র সাড়ে ৩১ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করে বিআর স্পিনিং মিলস। শুধু তাই নয়, এসব এলসির মাধ্যমে আসা পণ্য কোথায় কীভাবে রয়েছে, তার সম্পর্কে তথ্যও ব্যাংকের কাছে নেই। এতে এসব অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে কি না—তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এলসির মাধ্যমে এসব ঋণ সৃষ্টি হলেও তা পরিশোধ না করায় পরবর্তী সময়ে ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে জনতা ব্যাংক। ওই সব ঋণ আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা ভঙ্গ করে পুনঃতপশিল করা হয়েছে। যা পরবর্তী সময়ে আবারও খেলাপি হয়ে পড়ে।

একই অভিযোগ ডরিন গার্মেন্টস লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানিতে ব্যর্থ হওয়ার পরও চুক্তিপত্র যাচাই না করেই বিপুল পরিমাণ ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা দিয়েছে জনতা ব্যাংক। পরে এলসির ওই দায় পরিশোধ না করায় ফোর্সড লোন সৃষ্টি করা হয়। এরপরও গ্রাহক ঠিকমতো কিস্তির অর্থ পরিশোধ না করায় ঋণটি খেলাপি হয়ে পড়ে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অমান্য করেই পুনঃতপশিল করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কাছে জনতা ব্যাংকের পাওনা ১৬৮ কোটি টাকা। এই ঋণের বিষয়ে নিরীক্ষকরা জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুনঃতপশিলের বিষয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে। তবে অনিয়মের ঋণের বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ব্যাংকটি। নিরীক্ষকরা এই ঋণ আদায় হবে কি না—তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অ্যাননটেক্স গ্রুপের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে সীমার অতিরিক্ত ঋণ প্রদান, মেয়াদোত্তীর্ণ দায় থাকার পরও এলসি সুবিধা, নতুন ঋণে এলসির দায় পরিশোধ এবং সমঝোতা স্মারক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিষ্ঠানটির ঋণকে পুনঃতপশিল করেছে জনতা ব্যাংক। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে ব্যাংকের ৫ হাজার ৮০২ কোটি টাকা।

তথ্য বলছে, অ্যাননটেক্স গ্রুপভুক্ত ৬টি প্রতিষ্ঠান খেলাপি থাকার পরও নতুন করে এলসি সুবিধা দিয়েছে জনতা ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে সীমার অতিরিক্ত সুবিধা, নেওয়া হয়নি কোনো জামানত এবং এসব এলসির দায় পরিশোধ না করায় ব্যাংকে ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে দায় পরিশোধ করেছে ব্যাংকটি। এসব ঋণের বিপরীতে কোনো জামানতও রাখা হয়নি। বর্তমানে জনতা ব্যাংকে অ্যাননটেক্স গ্রপের সুপ্রভ কম্পোজিট নিটের ৭০ কোটি, সিমরান কম্পোজিটের ১০০ কোটি, জাকার্ড নিট টেক্সের ১৯১ কোটি, গ্যালাক্সি সুয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডাইংয়ের ৮৪ কোটি, সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ৮৭ কোটি এবং সুপ্রভ রোটর স্পিনিংয়ের সাড়ে ২৬ কোটি টাকার দায় রয়েছে।

এ ছাড়া ২০১৯ ও ২০ সালে পরিচালনা পর্ষদের তিনটি সভায় অ্যাননটেক্স গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫ হাজার ২৪৩ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতপশিল করে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমঝোতা স্মারক ও বিআরপিডি সার্কুলার ৫ অনুযায়ী এটি আইনের লঙ্ঘন। সার্কুলার অনুযায়ী, পুনঃতপশিলের ক্ষেত্রে গ্রাহকের মোট ঋণের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিতে হবে; কিন্তু এ ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ।

অ্যাননটেক্স গ্রুপের ১৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রকল্প ঋণ, সিসি (হাইপো: টার্ম লোন) ও সৃষ্ট পিএডিসহ (টার্ম লোন) বর্তমানে ৮ হাজার ১৭৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাওনা জনতা ব্যাংকের। এর মধ্যে গত জুনের মধ্যে ৪ হাজার ৮১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা আদায় সাপেক্ষে ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার সুদ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত হয় ওই সময়ের বোর্ড সভায়। যার মধ্যে আরোপিত সুদের দুই হাজার ৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (সাসপেন্স খাতে রক্ষিত সুদ)। আর অনারোপিত সাধারণ সুদের ১০০ শতাংশ বাবদ ৯৭২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং অনারোপিত দণ্ড সুদের ১০০ শতাংশ বাবদ ৩০২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সর্বমোট অনারোপিত সুদ এক হাজার ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা মওকুফ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে এননটেক্স ৪ হাজার ১৭৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারলে ঋণটি আগের অবস্থায় ফিরে যাবে এবং তা পুনরায় ‘বিএল’ মানে শ্রেণীকরণ করা হবে ওই বোর্ড সভায় জানানো হয়। তবে ঋণটি খেলাপি না করে গত ২৫ জুলাইয়ের ৭৭৮তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় পুনারায় আরও ছয় মাসে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। এক্ষেত্রে দুই প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বিক্রির অর্থ জমার শর্তে ঋণ পরিশোধে গ্রুপটিকে সময় বাড়ানো হয়।

অপর এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, চট্টগ্রামভিত্তিক মেসার্স গ্লোবাল ট্রেডিং লিমিটেডকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে এক ঋণের অর্থ দিয়ে অন্য ঋণের দায় সমন্বয়, খেলাপি হওয়ার পরও সীমা অতিরিক্ত এলসি সুবিধা এবং সীমা অতিরিক্ত সিসি লোনের সুবিধা দিয়েছে জনতা ব্যাংক। এতে ব্যাংকের ১ হাজার ৭০ কোটি টাকা অনাদায়ী হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়া ভুয়া রপ্তানি বিল ক্রয়, অননুমোদিত ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা, রপ্তানিতে ব্যর্থ হওয়ায় ডিমান্ড লোন সৃষ্টি বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে জনতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে। এতে হাজার হাজার কোটি টাকা আটকা পড়েছে ব্যাংকটির। এসব ঋণের অর্থ ফেরাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দিয়েছে বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা দল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেসার্স এলাইন অ্যাপারেলস, সিকিং গার্মেন্টস ও অন্বেষা টাইলসের কাছে ভুয়া রপ্তানি বিল ক্রয়, অননুমোদিত ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা, রপ্তানিতে ব্যর্থ হওয়ায় ডিমান্ড লোন সৃষ্টির কারণে আটকা পড়েছে ২৬৭ কোটি টাকা। একই ধরনের অনিয়মের কারণে আল মদিনা ট্যানারির কাছে ১০২ কোটি টাকা, আরিফ অ্যাপারেলসের কাছে ৪৬ কোটি আটকা পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ না করে মেসার্স টেকনো প্লাস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, আলি পেপার মিলস, কোয়ালিটি মিল্ক প্রোডাক্টকে ঋণ দিয়ে তা খেলাপি হওয়ার পর বারবার পুনঃতপশিল করেছে জনতা ব্যাংক। এতে আটকেপড়া ৩০৩ কোটি টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে ব্যাংকটি। পাশাপাশি স্বল্প জামানতে দেওয়া ঋণ খেলাপি হওয়ার পর পুনর্গঠন করে মডার্ন স্টিল মিলস, এসএম স্টিল রি-রোলিং মিলস, ইস্টার্ন পলিমার, মুনস্টার পলিমার এক্সপোর্ট এবং বাংলাদেশ পলি প্রিন্টিং ইন্টারন্যাশনালকে নতুন ঋণ দিয়েছে জনতা ব্যাংক। এসব ঋণের ১ হাজার ৪১ কোটি টাকা এখন আদায় করতে পারছে না ব্যাংকটি।

এ ছাড়া স্বল্প জামানতে বৈদেশিক ব্যবসা নীতিমালা ভঙ্গ করে মেসার্স প্রোমেকার্স সুয়েটার লিমিটেডকে ১৪৭ কোটি টাকার অবৈধ এলসি সুবিধা দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংক। সব মিলিয়ে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকার অবৈধ সুবিধা দিয়েছে জনতা ব্যাংক।

জনতা ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, ‘কোনো ব্যাংক নীতিমালাবিরোধী কোনো কাজ করে কিনা—তা দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত দল রয়েছে। তারা তদন্ত করে কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর কোনো ব্যাংক যদি অন্যায়ভাবে ফোর্সড লোন তৈরি করে, সেই ঋণ খেলাপি হয়ে যায় এবং নীতিবহির্ভূতভাবে পুনঃতপশিল করে তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে আসা নানা অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আবদুল জাব্বার কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের ইডিএফের ঋণ বিতরণ এখনো শুরু হয়নি। আর আপনি যে বিষয়ে জানতে চাইছেন সেটা নিয়ে একেক সংস্থার একেক মত রয়েছে। দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিএজির বিভিন্ন মত রয়েছে। এই মুহূর্তে দেশের বাইরে থাকায় এসব নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এই ৩ পানীয় খেলেই ত্বকে দ্রুত পড়বে বার্ধক্যের ছাপ

জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে ১৩ ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম নিবন্ধন

শতকোটি টাকার সরকারি জমি সাড়ে ৫ লাখে হাতবদল

নারায়ণগঞ্জে দগ্ধদের সবার অবস্থা সংকটাপন্ন

নতুন ‘ইনিংস’ শুরু করলেন শচীনকন্যা সারা

যেসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন কেউ গোপনে আপনাকে ভালোবাসে

টিকটকার ইয়াসমিন আসলে ছেলে, জেন্ডার ফাঁসের পর গ্রেপ্তার

স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম বরদাশত করা হবে না : উপদেষ্টা নুরজাহান 

নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে যা জানালেন সিইসি

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় নারীকে খুন, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

১০

আজ বেবী নাজনীনের জন্মদিন

১১

চা দোকানের মাসিক বিদ্যুৎ বিল ৩ লাখ টাকা

১২

বাড়িতে ঢুকে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

১৩

দেশের সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

১৪

রাগিনী এমএমএস ৩’তে যুক্ত হচ্ছেন তামান্না ভাটিয়া

১৫

পর্তুগালের তারকা ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি বাড়াল ম্যানসিটি

১৬

ছবিতে কী দেখছেন, উত্তরই বলে দেবে আপনি অলস না পরিশ্রমী!

১৭

এশিয়া কাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ

১৮

 গাজায় দুর্ভিক্ষ হচ্ছে কি না, জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব

১৯

কেন্দ্র দখল করলেই ভোট বাতিল : সিইসি

২০
X