শাহনেওয়াজ খান সুমন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩০ এএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিশ্ব পানি দিবস আজ

চ্যালেঞ্জ কমেনি সুপেয় পানির

স্তর নামছেই
চ্যালেঞ্জ কমেনি সুপেয় পানির

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সাংদিয়া গ্রামে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন একটি পুকুর রয়েছে। আশপাশের অন্তত চারটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের সুপেয় পানি সংগ্রহের উৎস পুকুরটি। তিন কিলোমিটার দূরের কলমিবুনিয়া থেকে প্রতিদিন সাংদিয়ায় আসছেন শত শত মানুষ। যাদের অধিকাংশই হেঁটে এসে পানি সংগ্রহ করেন। প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবেই যাওয়া-আসা মিলে ছয় কিলোমিটার হাঁটতে হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের কাছে দৈনন্দিন জীবনে সুপেয় পানি যেন রীতিমতো এক জীবনের যুদ্ধ।

গভীর নলকূপ এবং মিঠাপানির উৎস না থাকায় লবণাক্ত পানির ওপর নির্ভর করতে হয় বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকার মানুষকে। সুপেয় পানি নিশ্চিতে জেলায় ৫০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে গত ১৪ বছরে। তারপরও সুপেয় পানির সংকট দূর হয়নি। শুধু বাগেরহাট নয়, সরকারি হিসাবে এখনো ৪১ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় আজ শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য—‘শান্তির জন্য পানি’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

লবণাক্ততা, আর্সেনিক, দূষণ আর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সুপেয় পানির সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। পানি বিশেষজ্ঞরা জানান, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের যোগাযোগ রয়েছে। এসব এলাকা দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি সরাসরি সাগরে গিয়ে পড়ছে। মোহনায় যে বিশাল জনগোষ্ঠী বসবাস করে, তাদের পানির উৎস এই নদীগুলো। কিন্তু ফারাক্কার প্রভাবে উজান থেকে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় বিপত্তি ঘটেছে। এখন সমুদ্রের নোনা পানি জনবসতির বিপুল এলাকা গ্রাস করছে। ফলে মানুষের ব্যবহার্য পানিরই কেবল সংকট সৃষ্টি হয়নি, সংকট তৈরি হয়েছে কৃষি এবং সেচের পানিরও।

এদিকে ভরা বর্ষায় পদ্মা, যমুনা, করতোয়া, ব্রক্ষ্মপুত্র নদ, তিস্তা নদী, ধরলা নদী, দুধকুমর, ফুলকুমার, সোনাভরি, হলহলিয়া নীলকমল, কালজানী, জালছিড়াসহ উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত নদীতে পানি থাকলেও গ্রীষ্মে এ অঞ্চলে পানির ভয়াবহ সংকট দেখা দেয়। ফলে পানির অভাবে উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলার কৃষকরা কৃষিজমিতে সেচ দিতে পারেন না।

বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের আওতার মধ্যে পানির কোনো উৎস রয়েছে। কিন্তু এর সবটাই পানযোগ্য নয়। বিশুদ্ধ পানির যেসব উৎস রয়েছে, সেগুলো ধীরে ধীরে দূষিত হয়ে পড়ছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা ৮০ শতাংশ পানিতে ক্ষতিকর জীবাণু ই-কোলাই রয়েছে। পুকুরের পানিতেও একই মাত্রায় এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যথাযথ স্যানিটেশন সুবিধা না থাকায় পানি দূষিত হয়ে পড়ার অন্যতম একটি কারণ।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের মধ্যভাগ ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তৃত ৪৮ জেলার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৫ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ ও খাবার পানি সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঢাকায় পানির স্তর ভূপৃষ্ঠ থেকে গড়ে ২১২ ফুট নিচে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মাটির নিচ থেকে অব্যাহতভাবে পানি তোলা হলে আগামীতে ঢাকার পানিতে সমুদ্রের লবণপানি চলে আসবে।

জাতিসংঘের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শীর্ষে থাকা ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম রয়েছে। তালিকায় সপ্তম স্থানে বাংলাদেশ। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ নাগরিকের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই লক্ষ্য অর্জনে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে।

বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইডের হিসাবে, সুপেয় পানি পাচ্ছে না দেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষ। উপকূলীয় অঞ্চলে এখনই ১০ কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। দেশে প্রতি বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী কমপক্ষে ৪ হাজার ১০০ শিশু মারা যায় নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন সুবিধার অভাবে।

গবেষকরা বলছেন, এক যুগ আগেও বরেন্দ্র অঞ্চলে ৬০ থেকে ৯০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যেত। বর্তমানে ১৬০ ফুট বা তার নিচে না গেলেও পানি মিলছে না। ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০ থেকে ৪৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পানির স্তর নামছে। বর্ষা মৌসুমেও এ স্তর স্বাভাবিক অবস্থায় আসছে না। বরেন্দ্র অঞ্চলে বোরোর চাষ প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেলেও ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নামছে।

এদিকে ঢাকায় পানির স্তর নেমে যাওয়া কোনোভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রতি বছর ২ থেকে ৩ মিটার করে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। গত ৫০ বছরে ঢাকার পানির স্তর নেমেছে ৮৩ মিটার। এতে একদিকে বাড়ছে সুপেয় পানির সংকট, অন্যদিকে ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ২০১০ সালে ঢাকা ওয়াসার উৎপাদিত পানির ৮০ শতাংশ ছিল ভূগর্ভস্থ উৎসের, যা গভীর নলকূপের মাধ্যমে তোলা হয়। আর ২০ শতাংশ ছিল ভূ-উপরিভাগের পানি। সংস্থাটি ২০২৫ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ পানি ভূ-উপরিভাগ থেকে সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও এখনো এই হার মাত্র ৩০ শতাংশ। বর্তমানে ১ হাজার পাম্প বসিয়ে ঢাকা ওয়াসা প্রতিদিন প্রায় ৩৩ লাখ ঘনমিটার ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে। উত্তোলন করা এই পানির ২৫ শতাংশই অপচয় হচ্ছে ওয়াসার পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে।

পানির স্তর নেমে যাওয়া বন্ধে ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা’ কর্মসূচির মাধ্যমে ১৭ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি মেগা প্রকল্প নিয়েছিল ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সালে এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল ভূগর্ভস্থ পানির উৎস থেকে পানি সংগ্রহের হার ৭৮ ভাগ থেকে ৩০ ভাগে নামিয়ে আনা। সেখানে ১০ বছরে মাত্র ১৩ ভাগ উৎস কমানো সম্ভব হয়েছে। ফলে ২০২৫ সালের মধ্যে ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে পানি সংগ্রহের হার ৭০ ভাগে উন্নীত করা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা’ কর্মসূচির মাধ্যমে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ কোটি লিটার পানির চাহিদা পূরণ করার পরিকল্পনা আছে। এসব পূরণ হলে ৭০ ভাগ ভূগর্ভস্থ পানি দেওয়া সম্ভব হবে।

ঢাকায় আগুন লাগলে পানি সংকটের বিষয়টি সামনে আসে। আগুন নেভানোর জন্য পানির উৎস খুঁতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। কয়েক দশক আগেই ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং গবেষকরা। ১৯৯৬ সালে ঢাকায় পানির স্তর ছিল ২৫ মিটারে, যা ২০০৫ সালে ৪৫ মিটার, ২০১০ সালে ৬০ মিটার এবং ২০২৩ সালে এসে ৭৫ মিটারে নেমেছে। ১৯৭০ সালেও ঢাকা শহরে ৬ মিটার বা প্রায় ২০ ফুট মাটির নিচেই পানি পাওয়া যেত। অথচ, ২০২৩ সালে ৭৩ মিটার বা প্রায় ২৪০ ফুটের আগে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

সারা দেশে ১ হাজার ২৭২টি পর্যবেক্ষণ কূপের মাধ্যমে ৬০ বছর ধরে পানির পরিমাণ ও গুণমান পর্যবেক্ষণ করছে পাউবো। প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছর ২ মিটার বা প্রায় ৭ ফুট করে নেমে যাচ্ছে।

পাউবোর ভূগর্ভস্থ পানিবিজ্ঞান পরিদপ্তরের পরিচালক ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন, ঢাকার মাটির নিচে একটি বড় বিপর্যয় তৈরি হচ্ছে। মাটির নিচে হচ্ছে বলে আমরা সেটা দেখতে পাচ্ছি না; কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা বিপর্যয়ের ধারণাই পাচ্ছি।

এভাবে পানির স্তর নামতে থাকলে ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়বে। শহর, গ্রাম এবং শিল্প এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমিয়ে বৃষ্টি বা উন্মুক্ত জলাধারের পানির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে পানির প্রাপ্যতা কমে যাবে। সুপেয় পানির সংকট দেখা দেবে। নরম মাটির ক্ষেত্রে ফাটল ও দেবে যাওয়ার ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা শহরের মূল অংশ বাদে আশপাশের নিচু এলাকার ক্ষেত্রে ভূমি দেবে যেতে পারে। আর নদী এলাকার ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেলে ভূমিতে ফাটল দেখা দেয়।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিদিন ২৭ লাখ ৫০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন হয়, যার ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে উত্তোলন করা হয়। মাটির ওপরের উৎস থেকে বাকি চাহিদা মেটানো হয়।

অধিদপ্তরের গ্রাউন্ড ওয়াটার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান কালবেলাকে বলেন, দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ পানি চাষাবাদে ব্যবহার হয়। বাকি চাহিদার ৬ শতাংশ শিল্প ও প্রাতিষ্ঠানিক খাতে এবং ৪ শতাংশ ব্যবহার হয় পান করা ও গৃহস্থালি কাজের জন্য। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০০ ফুট গভীর পর্যন্ত গভীরতায় পানি উত্তোলনের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের ভূগর্ভস্থ পানির সঞ্চয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির প্রস্তাব লিপিবদ্ধ হলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা হবে : মির্জা ফখরুল

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দাবি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক, আন্দোলন স্থগিত

‘৩১ অক্টোবরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করবে কমিশন’

বাংলাদেশকে উড়িয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

বল এখন আফগানিস্তানের কোর্টে : শাহবাজ

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১১ পয়েন্টে মশাল প্রজ্জ্বলন

টানা ১৪ বছর কুমিল্লা বোর্ডসেরা সোনার বাংলা কলেজ

প্রধান উপদেষ্টাকে গোলাম পারওয়ার / ‘চার-পাঁচজন উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি অনুগত’

ছাত্রদলের ৪ নেতা বহিষ্কার

ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের সবাই পেল জিপিএ ৫

১০

এইচএসসি ফলাফলে শীর্ষস্থান হারাল বগুড়া

১১

যে শর্তে জুলাই সনদে সই করবে জামায়াত

১২

নতুন বিএমডব্লিউ পেলেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকারা

১৩

৩৮ শিক্ষকের কলেজে ৭৪ জন পরীক্ষার্থী, উত্তীর্ণ ৮

১৪

ডাকসু জাকসু চাকসুর ফল নিয়ে জামায়াত আমিরের ভবিষ্যদ্বাণী

১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ কলেজে পাস করেননি কেউ

১৬

কৃষকদের হাত আরও শক্তিশালী করবে বিএনপি : তারেক রহমান

১৭

রাজশাহী সদরে এবি পার্টির প্রার্থী সাঈদ নোমান

১৮

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আডা লাভলেস প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

১৯

জীবগাঁও কলেজে শতভাগ ফেল, অধ্যক্ষ বললেন ‘হতাশাজনক’

২০
X