শাহ আলম খান
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ০৩:৫১ এএম
আপডেট : ০১ মে ২০২৪, ০৭:৪৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অধিকার প্রশ্নে এখনো ঠকছেন শ্রমিক

পশ্চিমা চাপে সরকার
অধিকার প্রশ্নে এখনো ঠকছেন শ্রমিক

দেশের শ্রম আইন পরিপূর্ণ শ্রমবান্ধব নয়। এটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মৌলিক কনভেনশনের একটি খোলস মাত্র; যা অনেকটা কঙ্কালসার মানবদেহের মতো, যেখানে হাড়ের অস্তিত্ব থাকলেও নেই রক্ত, মাংস ও চর্বি। শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার গত ১৮ বছরে তিনবার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। তবে কোনো সংশোধনী উদ্যোগই বিতর্কমুক্ত থাকেনি। শ্রম আইনের সর্বশেষ সংশোধনী উদ্যোগেও রয়েছে আইএলও মানদণ্ডের হরেক ঘাটতি; যা এই সময়ের বাস্তবতায় বড় বিতর্ক তৈরি করেছে। এতদিন শুধু বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আওয়াজ উঠলেও নতুন খবর হচ্ছে—এখন বিদেশিরাও একই কথা বলছে। সর্বশেষ মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর (ইউএসটিআর) থেকে সংশোধন উদ্যোগে থাকা বাংলাদেশের শ্রম আইনের বিষয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে আলোচনা করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকে দ্রুত শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে। একইভাবে তৎপর রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারাও জিএসপি প্লাস মানদণ্ডে বাংলাদেশের টিকে থাকতে হলে শ্রম আইনকে পরিপূর্ণ আইএলও মানদণ্ডে নিশ্চিত করার বিকল্প কিছু তারা ভাবছে না বলে অভিমত দিয়েছে। সব মিলিয়ে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে সরকার।

যদিও সরকারের তরফ থেকে এই চাপ স্বীকার করা হচ্ছে না। আবার শ্রম আইন সংশোধন উদ্যোগে আইএলও মানদণ্ডের কোনো ধারা তারা লঙ্ঘন করেনি বলেও দাবি করে আসছে। তবে এতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি মার্কিন প্রশাসন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ জানান, মার্কিন বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে হলে বাংলাদেশের শ্রম আইন আরও উন্নত করতে হবে। এর জন্য মার্কিন সরকারের দেওয়া নতুন ১১ দফা অ্যাকশন প্ল্যান বাংলাদেশকে বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতেই হবে।

বাংলাদেশের শ্রম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১১ দফার অ্যাকশন প্ল্যানে অন্যতম শর্ত হচ্ছে—শ্রমিকরা যাতে স্বাধীনভাবে সংগঠিত হতে পারে এবং যৌথভাবে দরকষাকষি করতে পারে আইন সংশোধন করে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া ট্রেড ইউনিয়নের সংগঠক, শ্রমিক, শ্রম অধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংস পদক্ষেপ ও হয়রানি করা যাবে না। এরই মধ্যে শ্রম অধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। শিল্পকারখানার মালিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতরা শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেসব মালিক অ্যান্টি-ইউনিয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে থাকবে, তাদের জরিমানা ও শাস্তি আরও বাড়াতে হবে। শ্রমিক ধর্মঘটের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ বাদ দিতে হবে। সংশোধিত শ্রম আইনে একটি ধারা যুক্ত করতে হবে। এ ধারায় শ্রমিকদের জানতে দিতে হবে যে, কারখানা কতজন শ্রমিক আছে এবং এর কত শতাংশ ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ইচ্ছুক। এ ব্যবস্থা না থাকলে মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

আইএলও মানদণ্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রম আইনে ঘাটতি যেখানে:

একজন শ্রমিকের কাজের সর্বোচ্চ সময়সীমা হবে ৮ ঘণ্টা। ১৯১৯ সালের আইএলওর যে কনভেশন, তার এক ধারায় এটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই কাজের সীমা এখন আরও কমিয়ে দিনে ৬ ঘণ্টায় নামিয়ে এনেছে। কোনো কোনো দেশ সেটি সপ্তাহে ৩৫ ঘণ্টা এবং ইউরোপীয় দেশগুলো সপ্তাহে ৪ দিন কাজের সীমা নির্ধারণ করেছে। সেখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। শ্রম আইনের ১০০ ধারায় এই আইএলও কনভেনশন অন্তর্ভুক্তি ঘটলেও তার ব্যত্যয়ে ১০৮ ধারা জুড়ে দিয়ে বলা হয়, অতিরিক্ত সময় কাজ করলে তাকে ওভারটাইম দেওয়া হবে; যা দেশের শ্রম আইনে সরাসরি আইএলও কনভেনশনের বরখেলাপ। এই বাস্তবতায় শ্রমিকরা এখন প্রতিনিয়ত বাধ্যতামূলকভাবে ওভারটাইম করতে গিয়ে দিনে ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। আর সেটি করছে বেঁচে থাকার তাগিদেই।

একই রকমভাবে ১৯৪৮ সালে প্রণীত আইএলও কনভেনশনের ৮৭ ও ৯৮ ধারা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার মুখ্য দলিল। যেমন এর ৮৭ ধারায় স্পষ্টভাবে শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা এবং স্বাধীনভাবে সংগঠন করার অধিকার দেওয়ার কথা বলা আছে। অন্যদিকে কনভেনশন ৯৮-এ শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকার এবং যৌথ দরকষাকষি করে তাদের সেই অধিকার প্রাপ্তির সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশে এই মৌলিক কনভেনশন মানার নজির কম এবং বাস্তবতাও খুবই জটিল। যেমন বাংলাদেশের শ্রম আইনেও এই আইএলওর মৌলিক কনভেনশন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে এই আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অতি সুচতুরভাবে এর বিভিন্ন ধারা-উপধারাতে বিভিন্ন রকম শর্ত ও বাধ্যবাধকতা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা একদিকে আইএলও কনভেনশনের মানদণ্ডকে যেমন খর্ব করেছে, অন্যদিকে দেশেও পরিপূর্ণভাবে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না। তাই দেশের শীর্ষস্থানীয় শ্রমিক নেতারা দাবি করছেন, শ্রম অধিকার সুরক্ষিত রাখার আইনেই মূলত রয়েছে–যত শুভঙ্করের ফাঁকি, যার কারণে প্রায় সময় শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে ইঁদুর-বিড়ালের খেলার দৃশ্যপট তৈরি হচ্ছে। সরকার এবং আমলারা মালিকদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে আইনি প্রক্রিয়ার ভেতরেই এভাবে শ্রমিক ঠকানোর কৌশল ও নানা ফাঁকফোকরের খেলা সুচতুরভাবে জিইয়ে রেখেছে।

দেশে ‘শ্রম আইন-২০০৬’ এর সংশোধিত সংস্করণ হলো ‘শ্রম আইন ২০১৩’, যা বর্তমানে গত ১০ বছর ধরে কার্যকর রয়েছে। তবে এতেও আইনের অনেক অস্পষ্টতা ও দুর্বলতা থেকে যাওয়ায় সময়ের বাস্তবতা এবং নানামুখী চাপে শেষ পর্যন্ত বর্তমান আইনটিও এখন অধিকতর সংশোধন উদ্যোগে রয়েছে, যা ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ নামে পরিচিতি পেয়েছে; কিন্তু আইএলওর মৌলিক কনভেনশনের পরিপূর্ণ নির্দেশাবলি বিতর্কমুক্তভাবে সর্বশেষ সংশোধনীতেও ওঠে আসেনি। অর্থাৎ বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ এ-ও সেগুলো পদ্ধতিগত ও ভাষাগত সূক্ষ্ম মারপ্যাঁচে রয়ে গেছে। ফলে এতেও শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার তুলনায় শিল্প মালিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্টতাই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। যে কারণে দেশে শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে দেশ-বিদেশে এত আওয়াজ উঠেছে। যদিও বাংলাদেশ আইএলওর ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ ২৯টি দলিলে অনুসমর্থন করেছে। অর্থাৎ আইএলওর সব মৌলিক কনভেনশন মেনে চলার প্রতিশ্রুতি রয়েছে সরকারের।

এ প্রসঙ্গে সরকারের মনোভাব জানতে চাইলে কালবেলার কাছে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক খুব অল্প কথায় জানান, ‘শ্রম আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে আমরা আইএলওর কোনো ধারা লঙ্ঘন করিনি। ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল, ২০২৩’–আইএলও কনভেনশন মেনেই হয়েছে। এটি দেশের সবচেয়ে শ্রমবান্ধব আইন হবে, যা আগামী বাজেট-পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আইএলও কনভেনশনের ৮৭ ধারার দফা ৮-এ বলা হয়েছে, দেশের শ্রম আইন এমনভাবে প্রণীত বা প্রয়োগ হবে না, যাতে এই কনভেনশনে প্রদত্ত নিশ্চয়তাসমূহ ব্যাহত হয়। এক্ষেত্রে আইএলও কনভেনশনের ৮৭ ধারায় স্পষ্টভাবে শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা এবং স্বাধীনভাবে সংগঠন করার অধিকার দেওয়ার কথা বলা হলেও ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল, ২০২৩-এ সেটি কোটা দিয়ে তার মানদণ্ডকে খর্ব করা হয়েছে। কোটা প্রসঙ্গে বলা হয়, যদি কোনো ট্রেড ইউনিয়ন করতে হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ ওই সংগঠনের সদস্য হতে হবে। অর্থাৎ আইনের ভেতরে একদিকে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ সদস্য সংখ্যার কোটা নির্ধারণ করে দিয়ে তা দেশে শ্রমিকদের স্বাধীনভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রকে সংকুচিত রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া সংশোধিত শ্রম আইনের ২৬ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, যদি মালিক কর্তৃপক্ষ মনে করে ট্রেড ইউনিয়ন করতে আগ্রহী এমন সদস্যদের থেকে কাউকে কাউকে চাকরিচ্যুত করবেন, তাহলে সেটি করতে পারবেন। যা ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে একটি বড় থ্রেট। এ ছাড়া শ্রম আইনের ১৮০ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে যারা স্থায়ী শ্রমিক নন, তারা ট্রেড ইউনিয়নের কোনো পদে থাকতে পারবেন না বলা আছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ প্রক্রিয়ায় যারা নেতৃস্থানীয় তাদের পাঁচ-সাতজনকে যদি মালিকপক্ষ ছাঁটাই করে দেন, তাহলে বাকিরাও আর ট্রেড ইউনিয়ন করতে সাহস পাবেন না। ফলে পুরো ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের তৎপরতাই ব্যাহত হবে।

অন্যদিকে আইএলও কনভেনশনের ৯৮ ধারায় শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় দরকষাকষির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ৮৭ ধারায় যেখানে শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারকেই স্বাধীনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন না, সেখানে শ্রমিকের মজুরি, কর্মঘণ্টা, কর্মপরিবেশ, কারখানার অভ্যন্তরীণ অন্যায় আচরণের প্রতিবাদসহ সব ধরনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথিত ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা কীভাবে মালিকদের সঙ্গে কার্যকরী দরকষাকষির ভূমিকায় থাকবে, বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। অর্থাৎ স্বাধীনভাবে ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলার পরিপূর্ণ স্বাধীনতা না থাকলে গঠিত ট্রেড ইউনিয়নও মালিকদের সঙ্গে স্বাধীনভাবে দ্বিপক্ষীয় দরকষাকষি ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারে না।

অন্যদিকে বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সঙ্গে এখনো ৮৮ শতাংশ শ্রমিক যুক্ত রয়েছেন। এ খাতের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার কীভাবে হবে, তারও নিশ্চয়তা নেই সংশোধনের সবশেষ উদ্যোগে। কারণ, আইনে একদিকে ২০ শতাংশ শ্রমিককে সংগঠনের সদস্য করার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, অন্যদিকে কিন্তু এ সংক্রান্ত আরেক ধারাতে বলা হয়, এর জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনাপত্তিপত্র লাগবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল, ২০০৩-এর দফা-৪৫-এ মালিক-শ্রমিক বৈষম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। এতে শ্রমিকদের বেআইনি ধর্মঘটের ক্ষেত্রে জরিমানা ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়; কিন্তু মালিকদের ক্ষেত্রে জরিমানা আগের মতোই ৫ হাজার টাকা রাখা হয়েছে, যা শ্রমিকের চাইতে মালিকের স্বার্থই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) নেতা রাজেকুজ্জামান রতন কালবেলাকে জানান, সংশোধিত শ্রম আইনও আইএলও স্ট্যান্ডার্ডে হয়নি। কারণ, শ্রম আইনে শ্রমিকদের মূল দাবি ছিল আইএলও কনভেনশনের ৮৭ ও ৯৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী শ্রমিকদের যেন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বিঘ্নে ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেওয়া হয়। শ্রমিকরা যেন সম্মিলিতভাবে তাদের স্বার্থ রক্ষায় দরকষাকষি করার সুযোগ পায়, কিন্তু সংশোধনীতে সেটা হয়নি।

জানা গেছে, দেশের শ্রম আইনে ৩৫৪টি ধারা রয়েছে। এবার সংশোধনী উদ্যোগে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ২১৪টি ধারার ওপর ৩৫১টি সংশোধন প্রস্তাব রাখা হয়। কিন্তু সংশোধিত শ্রম আইনের বিষয়ে মালিক-শ্রমিক ও সরকার পক্ষ মিলে গঠিত এ সংক্রান্ত কমিটি এসব ধারার মধ্য থেকে মাত্র ৮৮টি ধারার বিষয়ে সম্মত হয়। এর বাইরে উচ্চতর কমিটিতে পাঠানোর জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৫৩টি ধারা। ১৫টি বৈঠক থেকে এই মূল কাজটি করা হয়।

তবে অভিযোগ রয়েছে, শ্রমিক-মালিক ও সরকার পক্ষের প্রতিনিধিরা কমিটির আলোচনায় যে বিষয়গুলোতে একমত হয়েছিলেন, পরে যখন এর সারসংক্ষেপ তৈরি হয় সেখানে বেশ কিছু জায়গায় যেসব বিষয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। যে কারণে সংশোধিত শ্রম আইনের শুরু থেকেই এগুলো নিয়ে শ্রমিক পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের আপত্তি ছিল।

এ বিষয়ে বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদ কালবেলাকে জানান, সংশোধিত শ্রম আইন বা ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল, ২০০৩’ সর্বজনীন নয়। সংজ্ঞার মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। আবার শুধু থার্সহোল্ড কমালেই যথেষ্ট নয়, যে ট্রেড ইউনিয়ন করবে, নিরাপদ থাকার বিষয়ে আইনে কিছু নেই। শিল্পবিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গরমে অস্বস্তি, বৃষ্টি হতে পারে ঢাকায়

আজকের নামাজের সময়সূচি

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

আজ যেসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রভাবশালী প্রার্থীর পছন্দের প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগের অভিযোগ

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

জুমার দিন যেসব আমল করবেন

নির্বাচনী শোডাউনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু 

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

১ মণ ধানের দামেও মিলছে না দিনমজুর 

১০

বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক

১১

সিলেটে ফের বিরতি ফিলিং স্টেশনে আগুন

১২

এক হাজার সফল সার্জারি সম্পন্ন করেছে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল

১৩

আলুর হিমাগারে মিলল লাখ লাখ ডিম

১৪

শিক্ষার্থীদের বাস নিয়ে প্রোগ্রামে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ

১৫

মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

১৬

যুদ্ধ শেষে গাজায় যে পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র

১৭

দেড় শতাধিক লোকসহ টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ

১৮

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে নাদিমের বাড়ি ৪৩ বছরের নারীর অনশন

১৯

‘পিডাইয়া লম্বা করে দেন, বহু উপরের নির্দেশ’

২০
X