খায়রুল আনোয়ার
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ এএম
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

হাসিনা আমলের দুর্নীতি: যে গল্পের শেষ নেই

হাসিনা আমলের দুর্নীতি: যে গল্পের শেষ নেই

লেখার শুরুতেই একটি মাত্র উদাহরণ থেকেই বোঝা যাবে যে, ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে পতিত ও পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিকে কতখানি প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলন করতেন, সেই সফর গুরুত্বপূর্ণ অথবা গুরুত্বহীন, যাই হোক না কেন। শেখ হাসিনা তার সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার বাসার কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ (চারশ) কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটি বাস্তব কথা। কী করে বানাল এ টাকা। আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা তো হয়।’ ‘বাসার কাজের লোক ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ করেছে’। দেশের সব টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক ছিল যে, নৈতিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর তার পদে থাকা উচিত কি না? গণতান্ত্রিক কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী এটা বলার পর নিঃসন্দেহে তার প্রধানমন্ত্রিত্বের আসন নড়বড়ে হয়ে যেত। কিন্তু শেখ হাসিনা তো গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে কোনো সাংবাদিক প্রশ্ন করেননি। কারণ সংবাদ সম্মেলনে যাওয়া অধিকাংশ সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর তোষামোদ করতেন এবং প্রশ্ন যা করা হতো, তা ছিল শেখ হাসিনার ইচ্ছাপূরণের মতো প্রশ্ন।

শেখ হাসিনা তার পিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? পিয়নকে বাদ দিয়েছেন এবং কার্ড সিজ করেছেন। ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ করেছে বাসার কাজের লোক, তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে না দিয়ে শেখ হাসিনা পিয়নকে নিজেই শাস্তি দিয়েছেন। এর অর্থ দাঁড়ায়, ‘তিনি আইন, তিনিই আদালত’। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি থাকা পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ বানিয়ে নিরাপদে বিদেশে চলে যায়। দুর্নীতির বিষয়ে সরকার ‘জিরো টলারেন্সে’ বিশ্বাসী বারবার এ কথা উচ্চারণ করা শেখ হাসিনার মন্ত্রী-এমপি, পুলিশপ্রধান, সেনাপ্রধান, প্রশাসনের সচিব অকল্পনীয় সম্পদের মালিক হয়েছেন। শেখ হাসিনার ওই সংবাদ সম্মেলনের কয়েক মাস আগে সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের তুলনাহীন দুর্নীতির খবর লিড স্টোরি হয়। করিতকর্মা এই সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা আবার শুদ্ধাচার পদক বিজয়ী। বেনজীর ও তার স্ত্রীর দুর্নীতির খবরের পর ক্রমাগতভাবে প্রকাশিত হতে থাকে সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, বিতর্কিত সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দুর্নীতির বিবরণ। ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল ও তার স্ত্রীর দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হয়েছে এবং পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।

শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি, ব্যাংক লুট করা ব্যবসায়ী, পুলিশ আমলাকে কতখানি লালন করেছেন এখানে তার কিছু পুনরুল্লেখ না করলেই নয়। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নামে বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য ফাঁস করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গত সাত জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ডামি নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে জাবেদ এই তথ্য গোপন করেন। লন্ডন, দুবাইসহ কয়েকটি দেশে তার এই সম্পদ রয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ২০ জন প্রার্থীর (যারা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন) গত পাঁচ বছরে নজিরবিহীন ভাবে সম্পদ বেড়েছে। টিআইবি গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জানায় শতকোটি টাকার বেশি অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ১৮ প্রার্থীর। প্রার্থীদের হলফনামাভিত্তিক বিশ্লেষণের বিষয়ে ওইদিন টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের যেভাবে সম্পদ বেড়েছে বৈধ উপায়ে, এভাবে সম্পদ বাড়ে কি না সেটা আসলে আমিও জানি না। আমরা সম্পদের যে পাহাড় দেখছি, এখন আমাদের দেশে এটাই ‘নিউ নরমাল’। কিছু মানুষ হাজার কোটি টাকার ওপরে থাকবে, আর কিছু মানুষের কীভাবে জীবন চলবে, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জীবন কাটাবে। সুলতানা কামাল সেদিন সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রাখেন, ‘কিছু মানুষের জন্য অল্প সময়ে এত সম্পদ কীভাবে বানানো সম্ভব হয়েছে?’ টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘হলফনামার তথ্য বাছাই করা হয় না। নির্বাচন কমিশন, রাজস্ব বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন এ কাজটি করতে পারে; কিন্তু কেউ তা করে না।’ শুধু সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ নন, পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের শত শত টাকার দুর্নীতির খবর গত মার্চ মাসে সংবাদপত্রের প্রধান শিরোনাম হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত পুলিশের সাবেক এই শীর্ষ কর্মকর্তা রাজধানীর গুলশানে চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, শতশত বিঘা জমি, রিসোর্টের মালিক। ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ, গাজীপুর থেকে টেকনাফ, কোথায় নেই তার সম্পদ। বেনজীরের স্ত্রী গৃহিণী থেকে রাতারাতি ব্যবসায়ী বনে যাওয়া জিসান মির্জার সম্পদও স্বামীর চেয়ে কম নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে তার নামে ২৪০ বিঘা জমি, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন কোম্পানির মালিকানার তথ্য খবরে প্রকাশিত হয়েছে। শুধু বেনজীর আহমেদ নন, পুলিশ বাহিনীর উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তা ‘এলোমেলো করে দে মা, লুটেপুটে খাই’—এই নীতি নিয়ে চলছিলেন। তাদের কাছে নিশ্চয়ই তাদের বসের (বেনজীরের) সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার খবর জানা ছিল। তাই এসব কর্মকর্তা ‘বস’কে অনুসরণ করে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ গড়ে তুলতে এক ধরনের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন।

আরেক বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ। রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুর, আশুলিয়া ও কক্সবাজারের টেকনাফে হারুনের অঢেল সম্পদ রয়েছে মর্মে সংবাদপত্রে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা শুধু বিরোধী দলের নেতাদের রিমান্ডে নেওয়ার নাম করে নির্যাতন করেননি, অসংখ্য ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন। এমন অসংখ্য অভিযোগ পুলিশের আরেক সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার এম শিবলী নোমানের দুর্নীতির খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। খবরে নোমানের শত শত বিঘা জমি, এগ্রো ফার্ম, গাড়ির শোরুম, একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

শুধু পুলিশ কর্মকর্তা নন, একজন সেনাপ্রধানের দুর্নীতির খবরও সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছে। ওই খবরে জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট, প্লট, জমি ও রিসোর্টের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু পুলিশপ্রধান ও সেনাবাহিনী প্রধান নন, মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা অর্থাৎ সচিবের দুর্নীতির খবরও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ মো. কামাল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ‘ফ্রিজ’ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে শাহ কামালের ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং তার স্ত্রীর সাতটি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া যায়। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের কয়েকদিন পর শাহ কামালের মোহাম্মদপুরের বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে নগদ ৩ কোটি টাকা উদ্ধার করে। গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ পদে থেকে এক জেনারেল কতখানি বেপরোয়া ভাবে দুর্নীতি করেছে, সে খবরও প্রকাশিত হয়েছে ৪ সেপ্টেম্বরের দৈনিক কালবেলায়। কালবেলার লিড স্টোরিতে বলা হয়, এনএসআইর মহাপরিচালক পদে থাকার সময় মেজর জেনারেল টি এম জোবায়ের রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রংপুর এবং ভোলায় বিস্তৃত ফসলি জমি, মাদারীপুরে অঢেল সম্পদ গড়েছেন। কালবেলার খবরে আরও বলা হয়, জেনারেল (অব.) জোবায়ের একাধিক ফ্ল্যাট ও রিসোর্টের বেশিরভাগই স্ত্রী ও ভায়রার নামে করেছেন। কতিপয় ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত এস আলম শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের একান্ত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এস আলম ওরফে সাইফুল আলম (মাসুদ)। শুধু ইসলামী ব্যাংক নয়, আরও পাঁচটি ব্যাংক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে ইচ্ছামতো লুট করেছে এস আলম গ্রুপ। ঘুরেফিরে আলোচনা ছিলেন বেসিক ব্যাংকের শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু।

সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠতে পারে, দুর্নীতি কি শুধু শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের আমলেই হয়েছে? এক কথায় এর জবাব হচ্ছে, না। দুর্নীতি সব সরকারের আমলেই হয়েছে। তবে গত ১৫ বছর যে লাগাম ছাড়া দুর্নীতি হয়েছে আগের কোনো সরকারের আমলে এর ধারেকাছেও তা হয়নি। বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীর বাসার কাজের লোক ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ করেছে, এমনটি আর কখনোই দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে শেখ হাসিনা তার এই ‘কীর্তিমান’ কাজের লোকটির কার্ড ‘সিজ’ করে বের করে দিয়েছেন, ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতির এটুকুই ছিল শাস্তি। সরকারের বিরাট সংখ্যক কর্মকর্তা, মন্ত্রী, এমপির বেপরোয়া দুর্নীতি সামাল দিতে না পেরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলতে শুরু করেন, দুর্নীতি হচ্ছে ‘ওয়ে অব লাইফ’।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা অসংখ্য মডেল মসজিদ ও মাদ্রাসা উদ্বোধন করেন। অন্যদিকে দুর্নীতিকে লালন করেছেন, দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটি কবিতা আছে, ‘ধর্মে আছি, জিরাফেও আছি’। এ কবিতার নাম মনে রেখে বলা যেতেই পারে, ‘শেখ হাসিনা ধর্মে ছিলেন, জিরাফেও ছিলেন’। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, পতিত স্বৈরাচারী সরকারের এসব দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী এমপি, পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, ব্যাংক লুট করা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী ব্যবস্থা নেয়।

লেখক: সাংবাদিক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভেঙে গেল ৬৩ কোটি টাকার নির্মাণাধীন সেতুর গার্ডার

বাংলাদেশকে ২৪৭ রানে থামানোর পর লঙ্কানদের দুর্দান্ত শুরু

ভিসাপ্রত্যাশীদের জরুরি নির্দেশনা দিল যুক্তরাষ্ট্র

‘কিছু লোক আমাকে ভালো হতে দিল না’

‘ভবিষ্যতে যেন কেউ হুদাই আওয়াল না হয় তার একটা শিক্ষা হতে পারে‘

উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে জবি শিবিরের মৌসুমি ফল উৎসব 

শুরু হচ্ছে ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ 

আশ্বাসে বছর যায়, নদী গিলে খায় জীবনের সবটুকু

আবু সাঈদ হত্যায় মিলেছে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা

পুরুষের বন্ধ্যত্ব বাড়াতে পারে যেসব খাবার

১০

গণডাকাতি করে বোমা ফাটিয়ে পালাল ডাকাতরা

১১

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে আরও মুসলিম দেশ?

১২

লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় নারীর গলাকাটা মরদেহ

১৩

মাথায় গুলি ঠেকিয়ে প্রকাশ্যে বিপুল টাকা ছিনতাই

১৪

কমেছে স্বর্ণের দাম, কত টাকা ভরি আজ

১৫

স্ত্রী অল্পতেই রাগছেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ 

১৬

টাঙ্গুয়ার হাওরে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড

১৭

৪ স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

১৮

রোজা কবে শুরু হতে পারে, জানাল আমিরাত

১৯

‘মহান এই নায়ককে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত’

২০
X