মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৩ এএম
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ব্যাংকরাজ্যে সংস্কার না সংহার

ব্যাংকরাজ্যে সংস্কার না সংহার

প্রতিদিনই সংবাদ হচ্ছে বেসরকারি ব্যাংক অথবা নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা আর লুটপাটের নিত্যনতুন কাহিনি। মুদিদোকানের মতো ব্যাংক চালানো যায় না। এবারের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর এ পর্যন্ত ডজনের বেশি ব্যাংকের পর্ষদ পরিবর্তন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্ত অবশ্যই সাহসী কাজ। কিন্তু শুধু ব্যক্তি বা পর্ষদ বদলই সংস্কার নয়। আর এ কারণেই নতুন সরকার আসার পর ব্যাংক খাত নিয়ে মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা কাটছে না। ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক বা বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ভেতরে-বাইরে কী হয়েছে, তা জানার বাকি নেই। কেবল ন্যাশনাল ব্যাংক ছাড়া বাকি পাঁচটি ব্যাংকের চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপকে একচ্ছত্র আধিপত্য কারা দিয়েছে, কারা এখন আবার সংস্কারের আওয়াজ দিয়ে নিজেরা পূতপবিত্র সাজার ভণিতা করছে, তাও ব্যাংকিং সেক্টরের সবারই মুখস্থ।

এর অনিবার্য জেরে বিভিন্ন সেক্টরের মতো সংস্কার-সংস্কার আওয়াজের মাতম ব্যাংকপাড়াও। এর মধ্যে সবল ব্যাংক-দুর্বল ব্যাংক বিভাজনের জজবা। গভর্নরের মুখেও সবল-দুর্বল, শব্দ দুটি নিয়মিত শোনা যায়। মোটাদাগে সরকারি-বেসরকারি-বিদেশি—এ তিন ক্যাটাগরিতেই ব্যাংক চেনে মানুষ। মাঝে প্রবলেম ব্যাংক, রুগণ ব্যাংক নামের পরিভাষা যোগ হয়। সেখানে এখন নতুন চিহ্ন সবল আর দুর্বল। কিন্তু কেন সবল, কেন দুর্বল নামকরণ? এ জিজ্ঞাসার গ্রহণযোগ্য জবাব নেই। যেন বলার জন্যই বলা। স্বয়ং গভর্নরের মুখেই সবল-দুর্বল অতি ব্যবহার হওয়ায় মেরামত, সংস্কার, চিকিৎসার প্রশ্ন চলে আসে। এ প্রশ্নও আসে সবলকে দুর্বল করল কে? দুর্বলকে সবল করার দাওয়াই কী? ওই দাওয়খানাই-বা কোথায়? ঝাড়ফুঁক, মেডিসিন বা সার্জিক্যালে এই রোগীকে সারিয়ে তোলার নামে সংস্কার না সর্বনাশ কোনটা নিশ্চিত হচ্ছে?

সংস্কারইবা মেরামত যদি হয়ে থাকে, তাহলে প্রায় দুই মাস ধরে ইসলামী ব্যাংকগুলোসহ আরও কিছু ব্যাংক গ্রাহককে টাকা দিতে পারছে না কেন? সব ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে গভর্নরের জন্য কি তা একচোখা হয়ে যাচ্ছে না? ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাবকে নেগেটিভ বললেই জবাব বা দায়িত্ব খালাস? সেখানেও তো প্রশ্ন আসে এই নেগেটিভ হলো কীভাবে? কারও অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলে তো তাকে টাকা দেওয়ার সিস্টেম নেই। সেখানেও অভিভাবকের প্রতিনিধি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্তাদের ভূমিকা কী? বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা যত না ব্যাংকার তার চেয়ে বেশি শাসক বা প্রশাসক। গভর্নর বলেছেন, ব্যাংকগুলো ডিপোজিট হারালে সেটা তাদের দোষেই হারাবে। এই নেগেটিভ ব্যালান্সের দায় কর্মরত সাধারণ অফিসারদের ভোগ করতে হলে, নেগেটিভ ব্যালান্সে নিয়ে যেতে সহায়তাকারীদের দায় কি গভর্নরের ওপর বর্তায় না? ব্যাংকের দায় ব্যাংকারের হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায় তাহলে কার? টাকা না ছাপিয়ে তারল্য সহায়তার ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন গভর্নর। তা শুনতে সাহসী, কিন্তু সরাসরি দায়িত্ব না নিয়ে কথিত সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নেগোসিয়েশনে নামিয়ে দেওয়া কি প্রকারান্তরে রোগে আরও টোকা দেওয়া নয়?

তারা ১০০ কোটির তারল্য সহায়তা দেওয়ার আগেই নেগেটিভ মার্কেটিংয়ে নেমে পড়ে ওই ব্যাংকগুলো থেকে হাজার কোটি ডিপোজিট হান্টিং করে নিচ্ছে। অথচ আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন ব্যাংক টু ব্যাংক নিভৃতেই হয়। এক ব্যাংকের লাগলে অন্য ব্যাংক দেয়, অন্য ব্যাংকের লাগলে আরেক ব্যাংক দেয়। এতে নেগেটিভ মার্কেটিংয়ের ঢোলে আপনাআপনিই বাড়ি পড়ছে। ব্র্যাক ব্যাংক কি খুব সবল? ব্যাংকিংয়ের নিয়ম কি তারা খুব মানে? ঠুনকো অজুহাতে যেখানে প্রতিনিয়ত কর্মী ছাঁটাই হয়। তার ওপর তারল্য সহায়তার নামে ব্যাংকগুলোকে ঘূর্ণিপাকে রেখে তাদের কাস্টমার নষ্টের দায় কাউকে নিতে হচ্ছে না। নগদে পর্যবেক্ষক বসালেন। অথচ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি হুন্ডি লেনদেন হয় বিকাশে। বিকাশকে ছুঁয়েও দেখা হচ্ছে না। এটি কোনো এজেন্ডা কি না, এ জিজ্ঞাসা ঘুরছে বিভিন্ন ব্যাংকে। তাদের বিশ্বাস, সদিচ্ছা থাকলে কোনো ব্যাংকের কাস্টমার নষ্ট না করে, স্বাভাবিক লেনদেন করতে দিয়ে, ব্যাংকগুলোকে সময় বেঁধে দিয়েও সংস্কার করা সম্ভব। তা না করায় এখন ব্যাংকগুলোর শঙ্কা তাদের ডিপোজিটও হারাবে, কাস্টমারও হারাবে। তা সংস্কারের বিপরীতে এক ধরনের সংহার।

সংস্কারের সমান্তরালে সংহারের কারণে অনেকে অপ্রয়োজনেও টাকা তুলছেন। এর বিপরীতে যার প্রয়োজন তাকেও টাকা দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো। কারও বিয়ে আটকে যাচ্ছে, কেউ মৃত্যুর প্রহর গুনছে, কারও বিদেশযাত্রা আটকে যাচ্ছে, টাকা না পেয়ে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হচ্ছে চিন্তায়, কর্মকর্তারা হয়রানির শিকার হচ্ছে, এসবের অভিশাপ কি ভুগতে হবে না? এস আলম গত সাত বছর ধরে টাকা লুটের মদদ বা সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অবদান কম? অথচ পরিণাম ভুগছে আট-নয়টা ব্যাংক।

ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ; সব মিলিয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় উত্তাল জুলাইয়ে জুনের তুলনায় ব্যাংক খাতে লেনদেন কমেছে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। আগস্ট থেকে শুরু হওয়া তীব্র তারল্য সংকট এখনো বিরাজমান। আমানতের টাকা তুলতে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, জুলাই মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের লেনদেন জুন মাসের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ কম ছিল। বিশেষ করে চেকের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ সময় চেকে লেনদেন কমেছে ৫২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া লেনদেন কমেছে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও। জুলাইতে জুনের তুলনায় ডেবিট কার্ডে লেনদেন কমেছে প্রায় ২২ শতাংশ বা ১০ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা এবং ক্রেডিট কার্ডে প্রায় ১৫ শতাংশ বা ৩৯৮ কোটি টাকা। আগস্ট থেকে শুরু হওয়া তারল্য সংকট এসে ঠেকেছে অক্টোবরে। এখনো বেশিরভাগ দুর্বল ব্যাংকে লেনদেনে ঢিমেতাল। কোনো কোনো ব্যাংকে ১০ হাজার টাকা তুলতেও পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। গ্রাহকদের রোষানল থেকে বাঁচতে গেট লাগিয়ে চালাতে হচ্ছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। ব্যাংক খাতে লেনদেন স্বাভাবিক করতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংক থেকে টাকা ধার নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই দোকানদারি পদ্ধতি মোটেই স্থায়ী সমাধান নয়।

বলার অপেক্ষা রাখে না, ব্যাংক খাতে নজিরবিহীন লুটপাট-দুর্বৃত্তায়ন যত না ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কারণে, তার চেয়ে বেশি বাইরের কারণে। মানে রাজনৈতিক রোগে। বাংলাদেশে নানান সমস্যার মূলে দুর্গন্ধময় রাজনীতি। ব্যাংকপাড়ায় তা আরও বেশি। রাজনীতি ঠিক না হলে বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনপ্রাপ্ত উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে সংস্কার না করলে কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না। এ রোগ ঢাকতে তারল্য সহায়তা দিয়ে ব্যাংক বাঁচানো হবে না, তা উপলব্ধি করেছেন গভর্নরও। আবার ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়, তাও বলছেন। সেইসঙ্গে বলছেন, রুগণ ব্যাংকগুলোর দায় তাদের নিজেদের। এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘রুগণ ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের অধিকার আমানতকারীদের আছে এবং গ্রাহক আস্থা হারিয়ে ফেললে সেই দায় ব্যাংকগুলোর। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে নতুন করে কোনো সহায়তা দেওয়া হবে না। দুর্বোধ্য এবং সাংঘর্ষিক কথামালা।

রাজনৈতিক কারণে কিছু ভালো ব্যাংক দুর্বল হয়েছে। এক পরিবারের কাছে আট-নয়টি ব্যাংক তুলে দেওয়া হয়েছে। চার-পাঁচটি পরিবার ব্যাংক থেকে ২ লাখ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। বিস্ফোরণোন্মুখ এই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করে যাচ্ছে। টাকা ছাপানো বন্ধ, সঙ্গে বন্ধ রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রিও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ শুধু ব্যাংক নিয়েই আবর্তিত নয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশ ব্যাংকের এটি প্রধান কাজ। অর্থনীতি কম বোঝা মানুষও বুঝতে পারছেন, ভবিষ্যতে অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় হবে ঋণের সুদহার। ১৫ শতাংশ ব্যাংক সুদে শিল্পকারখানা করে সফল হওয়া কঠিন। সুদহার বাড়লে সেটা ব্যাংকারদের জন্য খুশির খবর। কারণ, তাতে সুদ আয় বাড়বে। কিন্তু এর ফলে খেলাপি ঋণও বেড়ে যাবে।

সুদহারের সঙ্গে বিনিয়োগের তত সম্পর্ক নেই। স্বাধীনতার পর দেশের উদ্যোক্তা শ্রেণি তৈরি করেছে এই ব্যাংক খাত। কিন্তু এই খাত ধীরে ধীরে দুর্বল হয়েছে। সুদহারের কথা বলা হয়; এটা অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। কিন্তু সুদহারের সঙ্গে বিনিয়োগের সম্পর্ক তেমন একটা দেখা যায় না। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে অনেক ধরনের উদারনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে, তাতেও বিশেষ কাজ হয়নি; বরং একধরনের দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। সেখানে দুর্বৃত্তায়নমুক্ত, সচল ও টেকসই ব্যাংক খাত দরকার। এখানে গোঁজামিলে ফল আসে না। যার প্রমাণ ৬-৯ সুদহার করেও বিনিয়োগ বাড়ানো যায়নি। খেলাপি ঋণের গিঁট্টু খোলার নমুনাও নেই। আর ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ঐকমত্য ছাড়া অসম্ভব। তা যত না সংস্কারের বিষয়, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। পৃথিবীর এমন কোনো ব্যাংক নেই, যেখানে খেলাপি ঋণ নেই। ইচ্ছাকৃত খেলাপি আর অনিচ্ছাকৃত খেলাপির ফের দুর্বোধ্য নয়। এর আয়োজক-সহায়ক সবারই চেনা। রাজনৈতিকভাবে সুবিধা পাওয়া একটি পরিবার আট-নয়টি ব্যাংকের মালিকানা পেলেও বলা হচ্ছে, ব্যাংকে একটি পরিবারের শেয়ার ১০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। রাজনৈতিক কারণে ভালো ব্যাংককে মন্দের খাতায় তোলার বদসংস্কৃতির লাগামে টান না পড়লে সংস্কারের নামে সংহার চলতেই থাকবে।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট

ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৯৯৯-এ ফোন, নিখোঁজ হওয়া শিশু উদ্ধার

টিম গেমে টিমম্যান কোথায়

ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে নজরুলের শ্যামাসঙ্গীত অনুষ্ঠিত

ঢাবির ৩টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন

এবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকেও সরানো হলো শেখ মুজিবের ছবি

সাভারে বিএনপি নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, থানায় অভিযোগ

ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ না লাগানোর নির্দেশ

রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন : প্রধান উপদেষ্টা

আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ২৬

১০

আ.লীগের জেগে ওঠার কোনো সুযোগ নেই : রাশেদ প্রধান

১১

সড়কে রাখা ফ্রিজ সরাতে বলায় ঔদ্ধত্য, ৩ মাসের কারাদণ্ড

১২

উপদেষ্টা ফারুকীকে নিয়ে হিরো আলমের সংবাদ সম্মেলন

১৩

লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

১৪

কক্সবাজারে ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন জেলেরা

১৫

সুন্দরবনে জলদস্যু বাহিনীর প্রধানসহ দুজন গ্রেপ্তার

১৬

গাজায় দুই দিনে ইসরায়েলের ২০ সেনা নিহত

১৭

জয়ের অভিন্ন লক্ষ্য দুই দলের

১৮

শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ না করলে প্রয়োজনে প্রশাসক নিয়োগ

১৯

নির্বাচিত হয়েই মুসলিম ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভাঙছেন ট্রাম্প?

২০
X