বছরের অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কাজিকি ইতোমধ্যেই ভিয়েতনামের উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে। সোমবার বিকেল থেকেই এর প্রভাব স্পষ্ট হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ১৩৩ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকা প্রবল বাতাসে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলগুলো মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ভিয়েতনামের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি কিছুটা কমলেও বাতাসের গতি এখনো বিপজ্জনক পর্যায়েই রয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, কাজিকি গত বছরের ভয়াবহ টাইফুন ইয়াগির মতোই শক্তিশালী হতে পারে। ইয়াগি ছিল গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড়, যাতে প্রায় ৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল।
ঝড়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে হা তিঙ্ঘ উপকূলীয় প্রদেশ থেকে প্রায় ৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি থান হোয়া, কোয়াং ত্রি, হুয়ে ও দা নাংসহ মধ্যাঞ্চলের আরও কয়েকটি প্রদেশে ব্যাপক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঝড়ের কারণে ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দুটি বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। কিছু ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং হা তিঙ্ঘ প্রদেশে সড়ক পরিবহনও পুরোপুরি স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে কাজিকি চীনের হাইনান দ্বীপের কাছ দিয়ে অতিক্রম করে দক্ষিণ চীনে প্রবল বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাত নিয়ে আসে।
থাইল্যান্ডেও সতর্কতা জারি
কাজিকির প্রভাবে শুধু ভিয়েতনামই নয়, পার্শ্ববর্তী থাইল্যান্ডও এখন ঝুঁকির মুখে। দেশটির কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ৫৮টি প্রদেশে আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। বুধবার পর্যন্ত আকস্মিক বন্যা, পাহাড়ি ঢল এবং ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
থাই সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্দামান সাগরের উত্তরাংশ ও থাইল্যান্ডের উপসাগরের উত্তরাংশে ঢেউয়ের উচ্চতা তিন মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এজন্য জরুরি উদ্ধারকর্মী ও দুর্যোগ ত্রাণ বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন